কলকাতা: স্যালাইন কাণ্ডে (Saline Controversy) সরব জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Front Protester)। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগও দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্যালাইন কাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল কী। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির ছবি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তদন্ত কমিটি গঠন ও স্যালাইনের স্টক সরানোর ছাড়া রাজ্য কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যদফতর, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই ঘটনার দায় নিতে হবে, বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
‘রিঙ্গার ল্যাকটেট নিয়ে অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের। বহুবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অভয়ার ন্যায়বিচারের আন্দোলন চলাকালীনই অভিযোগ। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও কি করে এই ধরনের স্যালাইন ব্যবহার হয়। কর্নাটকে ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার পরও কেন স্যাম্পল টেস্ট নয়?’ প্রশ্ন জুনিয়র চিকিৎসকদের। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অক্সিটোসিন নিয়ে আগেও অভিযোগ ছিল” এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য দফতর ও স্বাস্থ্য সচিবদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার প্রশ্ন তোলেন, “মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ৩ জন কে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখছি। আমরা গোটা ঘটনায় নজর রাখছি। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কার তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ নেই। দুর্নীতির তদন্ত ঠিক ভাবে করল না স্বাস্থ্য দফতর। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এটাই চাই।
আরও পড়ুন: মহা কুম্ভমেলায় যাওয়ার জন্য এবার কলকাতা থেকে ছাড়বে বিশেষ ট্রেন!
এই স্যালাইন নিয়ে চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর দাবি এই স্যালাইনে বিপদ রয়েছে, তাই আরজি করে প্রসূতিদের আগেই এটি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২-৩ বছরে এরকম একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে কেসস্টাডিও হয়েছিল। কোন ওষুধ ও স্যালাইন ব্যবহার করলে রোগীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবেনা সেটা জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সচিব জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি। স্বাস্থ্য সচিবের তাঁর পদে থাকার অধিকার নেই। অপসারণ করতে হবে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।
দেখুন ভিডিও