কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে গত শনিবার শিয়ালদহ আদালতের তরফ থেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। আর তারপরেই সোমবার শিয়ালদহ আদালতের তরফ থেকে বিচারপতি অনির্বাণ দাস যাব্বজীবন কারাদণ্ড দেয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু সেই রায়তে কেউই খুশি নন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নির্যাতিতার বাবা-মা, এমনকি আরজি কর কাণ্ডের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআইও এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করেন। আর এবার সেই দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দ্বারস্থ হতে চলেছে হাইকোর্টে।
জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের তরফ থেকে দ্রুততার সঙ্গে এই মামলা হাইকোর্টের অনলাইন ই-ফাইলিং করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই ই-ফাইলিং প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার শিয়ালদহ আদালতে ধৃত সঞ্জয় রায়কে যাতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এর সপক্ষে আদালতে সিবিআই মন্তব্য করে, ‘ এই ঘটনা বিরলের চেয়ে বিরলতম’। যদিও সিবিআইয়ের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিচারপতি অনির্বাণ দাস তিনি বলেন, ‘ এই ঘটনা বিরলতম নয়, দেশ এরচেয়েও বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে’। আর তারপরেই তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে দেওয়া হয় আজীবন কারাদণ্ড।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানি, কবে হবে?
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।
দেখুন অন্য খবর