ওয়েব ডেস্ক: জেন-জি আন্দোলনে (Nepal Gen Z Protest) পড়ে গিয়েছে নেপালের ওলি সরকার। দেশজুড়ে এখনও পরিস্থিতি বেশ অগ্নিগর্ভ। একাধিক শহরে জারি রয়েছে কার্ফু। বিক্ষোভের আগুনে এখনও জ্বলছে রাজধানী কাঠমান্ডু। নেপালের এই অস্থিরতার সরাসরি প্রভাব পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার ঘাটাল ও দাসপুর এলাকায়। বিশেষ করে নেপালে কর্মরত অভিজিৎ মন্ডল সহ বহু ভারতীয় শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের দিন কাটছে দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায়।
ঘাটাল পৌরসভার আড়গোড়া এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ মন্ডল বর্তমানে নেপালে কর্মরত। তাঁর সঙ্গে তাঁর পরিবারের চার সদস্য এবং দাসপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাওয়া হাজার হাজার শ্রমিক নেপালের বিভিন্ন সোনার কারখানায় কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা নেপালে যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহী বাস ব্যবহার করেন। দাসপুরের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এসব বাস নিয়মিত কাঠমান্ডু ও আশেপাশের শহরে যাতায়াত করে।
আরও পড়ুন: হ্যাম রেডিও দিল নিখোঁজ ব্যাক্তির খোঁজ! নেপালে আটকে পানিহাটির বাসিন্দা
বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। কেউই নিশ্চিত নয় তাঁদের প্রিয়জন নিরাপদে আছেন কিনা। নেপালে জেন-জি’দের বিক্ষোভের কারণে তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জীবন নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেপালের এই অস্থিরতা ভারতীয় বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ নেপালের সোনার কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা বিপুল পরিমাণে কাঁচামাল নিয়ে কাজ করেন। ফলে সরবরাহ ব্যাহত হলে ভারত ও নেপালের সোনার বাজারে দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায়ী মহলের মতে, পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে সরবরাহ সংকট আরও গভীর হবে এবং এর প্রভাব সাধারণ ক্রেতাদের উপর পড়বে।
দেখুন আরও খবর: