বীরভূম: করোনা তার দোসর ওমিক্রন। যে কারণে এই বছরও ছেদ পড়েছে পৌষমেলায়। শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার আয়োজন করতে না পারার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লেখার পাঠানোর পরেও উত্তর মেলেনি। যে কারণে এই বছরও পৌষমেলা করা সম্ভব হয়নি।’
বৃহস্পতিবার ৭ই পৌষ সকালে পৌষ মেলার আয়োজন না করা হলেও, ছাতিমতলায় উপাসনার মাধ্যমে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে পৌষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ছাতিমতলায় উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ভাষণ দিতে গিয়ে পৌষমেলা না হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন।
এদিনে ভাষণে তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কারণে আমরা পৌষ মেলা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমতি চাই। কিন্তু কেন্দ্র জানায় রাজ্যকে চিঠি দিয়ে এই সম্পর্কে জানতে। এর পরেই অক্টোবরে আমরা রাজ্য স্বাস্থ্য সচিবকে আমরা চিঠি পাঠাই। যার কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। এর পরেই উত্তর না পেয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিই পৌষ মেলা না করার।’।
আরও পড়ুন- Snow Fall In Rishap: বছর শুরুর আগেই রিশপে তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা
এই বছরও হচ্ছে না পৌষমেলা। কিন্তু প্রতিবারের মতোই প্রথা মেনে বৈদিক শ্লোক, ব্রহ্ম মন্ত্র, রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে পালন করা হয়েছে পৌষ উৎসব। করোনা আবহের পর বোলপুরবাসী আশায় ছিল এই বছর পৌষ মেলা নিয়ে। কিন্তু পৌষ মেলা নিয়ে চাপানউতরের জেরে অবশেষে তা সম্ভব হয় না। তাই এই বছর বিকল্প পৌষমেলা করতে উদ্যোগী হয়েছে বোলপুর পৌরসভা তথা বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের আধিকারিকরা। এই মেলায় সহযোগিতা করছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি।