নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নীরব কেন? প্রশ্ন তুললেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের শরিক শিবসেনা (ইউবিটি) সুপ্রিমো উদ্ধব ঠ্যাকারে (Uddhav Thackeray)। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। উদ্ধবের বক্তব্য, সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি অবিচারের বিষয় গত কয়েকদিন ধরে বিরোধীরা সংসদে উত্থাপন করছে, কিন্তু ভারত সরকার কিছুই করছে না। ইউক্রেন সংকটে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ করেছিলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তিনি একইরকম পদক্ষেপ করুন। উদ্ধবের বক্তব্য, বাংলাদেশ ইস্যুতে শিবসেনার সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সময় দেওয়া হয়নি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব ছিলেন ইসকনের প্রাক্তন সদস্য সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। পরে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় ‘সনাতনী জাগরণ মঞ্চের’ মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে। তারপর গত ৩ ডিসেম্বর চট্টোগ্রাম আদালতে তাঁর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন কোনও আইনজীবী না থাকায় শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয় ২ জানুয়ারি। উল্লেখ্য, এই প্রেক্ষিতে ভারত সরকার একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় গিয়েও সেকথা বলে এসেছেন। বিরোধীদের দাবি, এক্ষেত্রে ভারত আরও সক্রিয় হোক। ধরি মাছ না ছুইঁ পানি মনোভাব ছেড়ে পদ্মাপাড়ের দেশে হিন্দুদের স্বার্থে বিকল্প পথে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আল্লু অর্জুনের গ্রেফতারে মৃতার স্বামী বললেন, মামলা প্রত্যাহার করতে চাই