জয়পুর: গত বুধবারের পর শুক্রবারও জয়পুর থানার (Jaipur PS) অঘোরপুর গ্রামে পুলিশ (Police) ঢুকতে দিল না সিপিআইএমের (CPIM) মহিলা প্রতিনিধিদলকে। জয়পুর থানার অঘোরপুর গ্রামে একটি শিল্পতালুক করার সিদ্ধান্ত নেযওয়া হয়। সেখানে সরকারি জমির ১৭ একরের ওপর তা তৈরি করতে শুরু করে প্রশাসন। শুরু থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের সঙ্গে বারে বারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসা হয়। তাঁদের ব্যবহারের জন্য ৫একর জমি প্রশাসন ছেড়েও দেয়। কিন্তু তারপরও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে বাধা দিতে শুরু করেন।
গত ৪ নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন। পরে ধস্তাধস্তি হয়, পুলিশকে পাথর ছুড়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করে। রাতেই ওই গ্রামের পুলিশের ওপর আক্রমণ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ১৩ জন মহিলাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা এখন পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে রয়েছেন। সেই ঘটনার পর গত বুধবার আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী এই অঘোরপুর গ্রামে আসার চেষ্টা করেন। তাঁকে গ্রামে ঢোকার আগেই পুলিশ আটকে দেয়। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর তিনি সেখান থেকে ফিরে চলে যান।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি, জানুন বিস্তারিত
গত বুধবারের পর আজ সিপিআইএম এর মহিলা প্রতিনিধি দল এই গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন। একইভাবে পুলিশ তাঁদেরকেও সেই একই জায়গাতেই আটকে দেয়। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর,দেবলীনা হেমব্রম ও বিলাসীবালা সহিস সহ বেশ কয়েকজন মহিলা নেত্রী। পুলিশ কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে অগরপুর গ্রামের ঢোকার চেষ্টা করেন সিপিএমের মহিলা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পুলিশ প্রতিরোধ করলে অবশেষে তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা এখান থেকে সোজা পুলিশ সুপারের অফিসে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে জানতে চাইবেন কেন তাঁদেরকে এই অঘোপুর গ্রামের ঢুকতে দেওয়া হল না। এমনই জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী কনিনীকা বোস।
আরও খবর দেখুন