কলকাতা: রাজ্য পরিবহণ দফতরের অনুমতি ছাড়াই কি ভেসেলে ফেরি পরিষেবা চলছে? হুগলির (Hooghly) বলাগড় এবং নদিয়ার (Nadia) সাহেবডাঙার মধ্যে ফেরি সার্ভিস নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রানাঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এবং বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে বলাগড় এবং সাহেবডাঙার মধ্যে RO RO ভেসেল চালু হয়। যদিও কয়েক বছর আগে থেকেই বলাগড়-সাহেবডাঙা ফেরিঘাট সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলে আসছিল। নতুন করে সংযোজন হয় ভেসেল পরিষেবা।
RO RO ভেসেলের জন্যে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বলাগর-সাহেবডাঙা ফেরিঘাটে নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়! কালনা নিবাসী তপন ঘোষ ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই টেন্ডার পান। এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা আলাদাভাবে নেওয়া হয় RO RO ভেসেলের জন্য। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দরপত্রের মেয়াদ শেষ হলে ফের ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে টেন্ডার ডাকা হয়। এবার সর্বোচ্চ এক কোটি ১৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার পান হুগলি বৈদ্যবাটি নিবাসী রাজেন্দ্রকুমার সাউ। এখন প্রশ্ন হল, ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে RO RO ভেসেলের টেন্ডারের অর্থ কত? দ্বিতীয়ত, পরিবহন দফতরের অনুমতি কি আদৌ আছে?
আরও পড়ুন: বন্ধ করা হল আগরতলায় বাংলাদেশের হাই কমিশনের সমস্ত কাজ
পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যেখানে ভেসেল পরিষেবা চলে তা কখনওই সারারাত ধরে চলে না, তার নির্দিষ্ট সময় আছে। কিন্তু বলাগর-সাহেবডাঙ্গা ফেরিঘাট চত্বরের মানুষ জানিয়েছেন, সারারাত ধরেই ভেসেল চলে। আরও জানা গিয়েছে, ভেসেল পরিষেবা চালাতে গেলে প্রত্যেক বছর ভেসেল ফিটনেস-এর জন্য সার্ভে হয় যা প্রথম বছর হওয়ার পর আর হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ভেসেলের যা বহন ক্ষমতা তার থেকে বেশি নিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
সব বিষয় নিয়ে বলাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বলাগর BDO কে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন, কোনও উত্তর দেননি। কোন নিয়মে চালানো হচ্ছে বলাগর-সাহেবডাঙা RO RO ভেসেল পরিষেবা তারও কোনও সদুত্তর দেয়নি বলাগর প্রশাসন। যদিও রানাঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকার কিছুই তাঁরা পাননি। তাহলে কি বলাগর-সাহেবডাঙা ভেসেল পরিষেবা বেনিয়মে চলছে? উঠছে নানান প্রশ্ন। তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত?
দেখুন অন্য খবর: