কাবুল: স্বাধীনতা দিবসের দিন কয়েক আগে জাতীয় রাজধানী কাবুল-সহ সমগ্র আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। প্রশ্ন উঠেছিল, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে। যদিও এই বিশেষ দিনে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। ভয় কাটিয়ে রাস্তায় নামলেন আফগান মহিলার। সেই সঙ্গে মিছিলে সামিল হলেন- শিশু এবং কিশোরেরাও।
চলতি মাসের ১৯ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ১৯১৯ সালের এই দিনের ইংরেজদের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিল আফগানিস্তান। সেই সাফল্যের ১০০ বছর পার করে ফের প্রতিকূলতার মুখোমুখি কাবুলিওয়ালার দেশ। যদিও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কোনও খামতি রাখেনি আফগানেরা।
বিপুল সংখ্যক মানুষ জমায়েত হয়েছেন রাজধানী কাবুল শহরে। যেখানে বহু মহিলা এবং শিশুদের দেখা গিয়েছে। কাবুলের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের দিকে এগিয়ে যায় ওই মিছিল। স্বাধীনতা দিবসের মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের পোশাকের রঙ লাল, সবুজ এবং কালো। যেগুলি ব্যবহার করা হয় আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকায়। সেই জাতীয় পতাকা নিয়ে বর্তমান প্রতিকূল সময়ে রাজপথে সাধারণ মানুষের মিছিল নজর কেড়েছে সমগ্র বিশ্বের।
কেবলমাত্র কাবুল নয়, আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে দেখা গিয়েছে একই ছবি। এই মছিলের শুরু হয়েছিল কোনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদ দিয়ে। সেখানেই প্রথম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে তালিবান বিরোধী মিছিল শুরু হয়। যেখানে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় মহিলাদের। ওই আসাদাবাদের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তালিবান। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু এবং অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। জেলালাবাদ শহরেও একই কায়দায় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে পেট্রোল ৫০ টাকা, ওখানে চলে যান: মূল্যবৃদ্ধির জবাবে বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক
এক জায়গায় ২০০ মিটার লম্বা জাতীয় পয়াতাকা নিয়ে মিছিল করে আফগানরা। যেখানে তালিবান হামলা চালালে মহিলাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে প্রতিবাদ জারি ছিল। এটাই বার্তা দেওয়ার যে আফগানরা কখনও হার মানে না। স্লোগান ছিল, ‘দীর্ঘজীবী হোক আফগানিস্তান।’ সেই সঙ্গে সর্বত্র জাতীয় পয়াতাকা হাতে মিছিলে স্লোগান দেওয়া হয়, “আমার পতাকা, আমার পরিচয়।”