কলকাতা: সাসপেনশন তোলার দাবিতে বিজেপির দুই বিধায়ক বিধানসভার লবিতে অবস্থানে বসছেন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এই কর্মসূচির কথা জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, যতদিন না সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততদিন অধিবেশন চলার সময় সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামী অবস্থান চালিয়ে যাবেন লবিতে। দলের অন্য বিধায়করা যে যখন সময় পাবেন, তিনি তখন ওই দু’জনকে সঙ্গ দেবেন। বিরোধী নেতার দাবি, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিজেপি জিতলে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিরোধীদের মুখোমুখি হতে ভয় পাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি এদিনই রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি বিতর্ক সেরে ফেললেন নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে।
শুভেন্দু আরও জানান, সভা চলাকালীন তিনি, অগ্নিমিত্রা পল এবং মনোজ টিগগা পালা করে দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে যাবেন। তাঁর অভিযোগ, বিনা কারণে দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হল। তিনি বলেন, ‘সভায় আমি সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।অধ্যক্ষ আমাকে লিখিত ভাবে জানাতে বলেন। আমি তাতে রাজি হইনি।’
দলের দুই বিধায়ককে বাজেট অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিজেপি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ বয়কট করে। বিজেপি সদস্যরা ওয়াকআউট করে লবিতে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশেও অবস্থান করেন।
সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিটলারের মতো আচরণ করছেন। শাসকদল বিরোধীদের লাগাতার অবজ্ঞা করে চলেছে। বাম আমলেও রাজ্যপালের ভাষণের উপর টানা তিন চার দিন জবাবি বিতর্ক চলত। আগে ঠিক ছিল, বুধবার আর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক চলবে। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই সময়সীমা ৫ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা হল। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী একাই ৫০ মিনিট ভাষণ দিয়ে গেলেন। এই সরকার বিরোধীদের ন্যূনতম মর্যাদাটুকুও দিতে চায় না।’
শুভেন্দু বলেন, পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে এক্সিট পোল বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে সব সমীক্ষার পূর্বাভাস। এই অবস্থায় আসলে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মাননীয়া। আগামিকাল বিজেপি জিতলে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মুখোমুখি হতে ভয় পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী আজ সিবিআই, ইডি নিয়েই বেশি সময় ব্যয় করলেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জিতে গেলে যদি আবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয়দের ধরাধরি করে, এই ভয় তাড়া করছে মাননীয়াকে।