কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্টস (Dean Of Student) রজত রায়কে তলব করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (Human Rights Commission)। সোমবার সল্টলেকের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। গত ৯ অগাস্ট রাতে ফোন পেয়ে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন? কাকে ফোন করেছিলেন তা জানতে চায় তদন্তকারীরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির র্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি অমান্য করার কারণও দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন।
যাদবপুর-কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের দাবি, তাদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। নিজেদের বাঁচাতে বারবার বয়ান বদল করছে। পুলিশের স্ক্যানারে এক পড়ুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। কী ঘটেছিল ওই রাতে? তা জানতে হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্কুলপড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে যাদবপুর কাণ্ডের ছায়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে
অন্যদিকে ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকেরা। তার পরেও কী করে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ অগস্ট রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিস পাঠিয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশন নোটিসে জানিয়েছিল, সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যেই কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলার কথা উঠে এসেছে। এই বিষয়টি জানতে ডিনকে ডেকে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।
তারপরই এদিন ডিনকে তলব করা হল ডিনকে। ফোন পেয়ে কী পদক্ষেপ করেছিলেন তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবারই লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল ডিনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই রাতের ঘটনার ব্যাপারে তিনি কী জানেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁরকাছে। তিনি জানান, সেই রাতে ১০ দিকে এক ছাত্র তাঁকে ফোনে জানান, হস্টেলের এক ছাত্রকে উক্তত্ত করছে। তিনি সুপারকে বিষয়টি দেখতেও বলেন। সুপার খোঁজ নিয়েছেন কি না, সেই বিষয় খবর নেননি রজত। হস্টেলের উচ্ছৃঙ্খলতার কথাও পুলিশকে জানিয়েছিলেন ডিন। তাঁর দাবি ছিল, হস্টেলেকড়া নিয়মকানুন কার্যকর করা যায়নি।