কলকাতা: ৯ আগস্ট আরজি করে (R.G.KAR) ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাতের অন্ধকারে ট্রেনি চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। তারপর থেকেই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এখনও মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। ৮৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সুরাহা মেলেনি। ঘটনায় গজিয়ে উঠেছে বহু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। আর সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই এক যুবক ‘নবান্ন’ জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশ মামলা দায়ের করে যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু যুবক এবার পুলিশের বিরুদ্ধে দ্বারস্ত হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
সূত্রের খবর, অভায়ার বিচার চেয়ে গজিয়ে উঠেছে বহু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (Whatsapp Group)। আর সেখানেই ট্যাংরা থানা এলাকার এক যুবক ‘নবান্ন’ (Nabanna) জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। বিষয়টি কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police)নজরে আসায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করে পুলিশ (Police)। আর সেই মামলা খারিজ করার দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ হলেন যুবক।
আরও পড়ুন: ফাঁসানো হয়েছে, আমি নির্দোষ, বিস্ফোরক সঞ্জয়
সোমবার দিন ট্যাংরার যুবক কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তার মামলা খারিজ করে নেওয়ার আবেদন করেন। ঘটনা সম্পর্কে বিচারপতি অবগত হওয়ার পরই পুলিশের কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছেন তিনি। পুলিশকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ট্যাংরা থানার পুলিশকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগে কোনো ফৌজদারি রেকর্ড আছে কি না। পাশাপাশি জানা যায় অভিযুক্ত যুবক ‘কথা কম, কাজ বেশি’ নামের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নবান্ন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
দেখুন অন্য খবর