কলকাতা: ফের যাদবপুর কাণ্ডে পুনর্নির্মাণ। এবার যাদবপুরে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে ওই বারন্দা থেকে পুতুল ফেলে পুনর্নির্মাণ করবে পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার ওই পড়ুয়ার একটি প্রতীকী পুতুল বানানো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা যাদবপুরের মেন হস্টেল অর্থাৎ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। হস্টেলে তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন তলার বারান্দা থেকে ওই পুতুল নীচে ফেলে করা হবে পুনর্নির্মান। সায়েন্টিফিক উইং, ফরেন্সিকের প্রতিনীধি দলের উপস্থিতিতেই এই পুনর্নির্মানের কাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর,
এদিন এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় ডিসি ও এসএসডি-র নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তদন্তে আগামীর রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৈঠকে রয়েচেন ডিসি এসএসডি সহ এসি ব়্য়াঙ্কের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে আইও, ওসি হোমিসাইডে সহ একাধিক তদন্তকারী অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের
এদিকে যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্টস (Dean Of Student) রজত রায়কে তলব করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (Human Rights Commission)। সোমবার সল্টলেকের অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। গত ৯ অগাস্ট রাতে ফোন পেয়ে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, কাকে ফোন করেছিলেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির র্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি অমান্য করার কারণও দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন।
যাদবপুর-কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের দাবি, তাদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। নিজেদের বাঁচাতে বারবার বয়ান বদল করছে। পুলিশের স্ক্যানারে এক পড়ুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। কী ঘটেছিল ওই রাতে, তা জানতে হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।