কলকাতা: ফের শিক্ষক নিয়োগে (Teacher Recruitment) আইনি জটিলতার প্রসঙ্গ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বুধবার ব্রাত্যর সঙ্গে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী দেখা করেন। পরে মন্ত্রী (Minister) বলেন, আজ কয়েকটি সংগঠন আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি, আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আইনি জটিলতার জন্য সমস্যা হচ্ছে। আদালত (Court) যেভাবে বলবে, আমরা সেভাবে কাজ করব।
এর আগে এদিন এসএসসির গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডির চাকরিপ্রার্থীদের তিনজনের এক প্রতিনিধিদল তৃণমূল ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। মন্ত্রী জানান, বিকাশ ভবনে (Bikash Bhawan) তাঁর সঙ্গে কয়েকজনের দেখা করার কথা। সেইমতো সময় দেওয়া আছে। তাই তিনি এখানে কারও সঙ্গে দেখা করবেন না।
মঙ্গলবার এই চাকরিপ্রার্থীদের একটি দল সিপিএম সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikashranjan Bhattacharjee) বাড়ির সামনে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। তাঁদের দাবি, মামলা মোকদ্দমার কারণে নিয়োগ (Recruitment) আটকে যাচ্ছে। বিকাশ তাঁদের কয়েকজনকে নিজের অফিসে (Office) ডেকে কথা বলেন। তিনি বলেন, আইনজীবীদের (Lawyers) জন্য নিয়োগ আটকায় না। আমি আইনজীবী হিসেবে অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। আমি মামলা করিনি। মামলাকারীদের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছি। আপনারা চাইলে আপনাদেরও হয়েও মামলা করতে পারি। পরে বিকাশ অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীদের কেউ তাঁর বাড়ির সামনে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP Leader Controversy: তৃণমূল নেতাদের পিটিয়ে লাল করার নিদান বিজেপি নেতার
এদিকে নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের (Principal Council) এক প্রতিনিধিদল এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সংগঠনের সভাপতি এবং সম্পাদকের ইস্তফার (Rejignation) দাবি জানান। ওই প্রতিনিধিদের অভিযোগ, জেলে বসেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharjee) অধ্যক্ষ পরিষদ চালাচ্ছেন। ছয় বছর ধরে কোনও নির্বাচন হয় না। একইভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন পরিষদের সম্পাদক দীপক করও (Dipak Kar)। অধ্যক্ষদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের কাছে স্বীকার করেন, সুবীরেশ বেআইনিভাবে পদ আটকে রয়েছেন। তিনি জানান, ২২ জানুয়ারি পরিষদের রাজ্য সম্মেলন হবে কোচবিহারে। তবে তখন কোনও নির্বাচন হবে না। ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় নির্বাচন হবে। মন্ত্রীর আশ্বাসে তাঁরা খুশি।
মঙ্গলবার আটজন অধ্যক্ষ সুবীরেশের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে। তাঁদের অভিযোগ, জেলে (Jail) বসে পরিষদ চালাচ্ছেন সুবীরেশ। তিনি জোর করে সভাপতির পদ আঁকড়ে রয়েছেন। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিষদের সম্পাদক দীপক করের বিরুদ্ধেও।