কেরল: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী আপোস চুক্তি করে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়। তদন্ত চলাকালীনই এই ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তা গ্রাহ্য হতে পারে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল আদালত। ধর্ষণের অভিযোগ এড়াতে চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তা সরকারি নীতির পরিপন্থী। রায় কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court)।
ধর্ষণের অভিযোগ বাতিলের দাবিতে হাওয়া মামলা খারিজ। শুধু ধর্ষণ নয়, খুন বা শিশুদের প্রতি যে কোন অত্যাচার এড়াতে আপস চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। রায় বিচারপতি এ বদরুদ্দিনের।
আরও পড়ুন: শনিবারও সিজিওতে সন্দীপ, তদন্ত কতদূর?
সরকারি নীতির পরিপন্থী যেকোনো রকমের চুক্তি আইনানুগ নয়। সেই কারণেই কোন রুজু হওয়া মামলা অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর মধ্যে চুক্তির কারণে বাতিল হতে পারে না। মন্তব্য আদালতের।
জরুরী কাজের অজুহাতে অভিযোগকারিনীকে পঞ্চায়েতে তলব পঞ্চায়েতটির সহকারী সেক্রেটারির। সেখানেই ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ। পরে অভিযোগকারিনীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধারাবাহিক যৌন নির্যাতন। অবশেষে ২০১৮ সালে ফৌজদারি অভিযোগ। অভিযুক্ত আব্দুল জলিলের পাল্টা দাবি, অর্থ আদায়ের জন্য মিথ্যা মামলা। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে চুক্তি।
আরও খবর দেখুন