কলকাতা: দুই কাউন্সিলর খুনে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব প্রশ্ন তুলেছেন, কী কারণে এই ধরনের ঘটনা আটকানো গেল না? পুলিস আধিকারিকদের কাছেই বা এই সংক্রান্ত কোনও খবর আগাম পৌঁছয়নি কেন? ভবিষ্যতে আর যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে পুলিস সুপারদের নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যসচিব।
মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সিআইডি, আইবি, এসপি, সিপি, এডিজি ও ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকরা বৈঠকে যোগ দেন। জেলাশাসকরাও বৈঠকে ছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি যে পুরসভাগুলিতে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ২৮টি পুরসভাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এই পুর এলাকাগুলিতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও গন্ডগোল না হয়, মুখ্যসচিব তা দেখতে বলেছেন।
সামনেই দোল-হোলি উৎসব। দোল উৎসবের সময় যাতে কোনওভাবেই অশান্তি মাথাচাড়া দিতে না পারে সেব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা যাতে না ছড়ায়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যসচিব। অশান্তি এড়াতে ব্যারাকপুর, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও গোয়েন্দা ইনপুটগুলিকে আরও জোরদার করার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder: ঝালদা খুনে ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের নিরপেক্ষ তদন্ত হবে, দোষীরা শাস্তি পাবে, আশ্বাস পার্থর
আনিস খান খুন সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারদেরকে তাদের এক্তিয়ার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব৷
গত রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দু। ওই একই দিনে পানিহাটিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক বৈঠকে রাজনৈতিক খুনোখুনি নিয়ে নিজের উদ্বেগ গোপন করেননি মুখ্যসচিব। রাজনৈতিক রং না-দেখে, ঘটনার পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে কড়া মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।