বসিরহাট: বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ধরনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ মুক্তি দেবে ততক্ষন এই ধরনা চলবে। বসিরহাট এসপি অফিসের সামনেই রাত কাটাবেন সুকান্ত।
সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে গিয়ে রাস্তায় ঠায় বসে সুকান্ত। অন্য দিকে, এসপি অফিসের পাশেই বিজেপির তরফ থেকে তৈরি হচ্ছে ধর্নামঞ্চ। রাতে সেখানেই থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপির সাত জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের সবাইকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
মঙ্গলবার বসিরহাট এস পি অফিস ঘেরাওয়ের অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। এই অভিযানকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে বসিরহাট। দফায় দফায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসপি অফিসের সামনে ব্যারিকের দিয়ে বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ। সেই ব্যারিকেট ভাঙার চেষ্টাও করে কর্মী সমর্থকরা। এর চেয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি থেকে শুরু করে ঈদ বৃষ্টিও চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাদানি গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসপি অফিসের সামনে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বসিরহাট বোডঘাট এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ থাকার পর ফের লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেছে বলেও দাবি বিজেপির। পুলিশের লাঠিচার্জে ১২ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। আহতদের বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাসন্তীতে পালবাড়ি টায়ের জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। বসিরহাটে এসপি অফিসের সামনেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসে যান তাঁরা।