নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার ভোর চারটে। গাজা খাঁড়িতে (Gaza Strip) হামাসের (Hamas) একের পর এক ঘাঁটিতে উড়ে এসে পড়ল ইজরায়েলি বিমানবাহিনীর (IAF) বোমা। তার মধ্যে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীর কুখ্যাত নুখবা (Nukhba) এলিট ফোর্সের (Elite Force) ডেরা। এই বাহিনীই ইজরায়েলে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল গত শনিবার।
নুখবা হল সিরিয়ার বাছাই করা জঙ্গিদের নিয়ে গঠিত একটি এলিট ফোর্স। এরা অতর্কিত হামলা, খুনজখম, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে অনুপ্রবেশ, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চালানো, রকেট হানা এবং নিখুঁত লক্ষ্যভেদে পারদর্শী। এছাড়াও এদিন ইজরায়েলি বাহিনী হামাসের নৌ বাহিনীর রাফাহ ব্রিগেডের কমান্ডার মহম্মদ আবু শামলার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করে। ইজরায়েলের দাবি অনুসারে শামলার বাড়ি ছিল নৌ অস্ত্র রাখার বড়সড় গুদাম।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল থেকে ঘরে ফিরলেন বনগাঁর গবেষক-ছাত্র
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এদিনই জানিয়েছে, তারা স্থলপথে গাজায় ঢুকতে তৈরি। কিন্তু, রাজনৈতিক সবুজ সংকেত না মেলায় তারা অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, পৃথিবীর বুকে একটিও হামাস জঙ্গিকে রাখা হবে না। বেছে বেছে তাদের নিকেশ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিরোধী দলকে নিয়ে একটি জরুরিকালীন ক্যাবিনেট গঠিত হয়েছে। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু, বিরোধী দলনেতা বেনি গ্রান্টজ, বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যোহাভ গ্যালান্ট এবং পর্যবেক্ষক হিসেবে দুই শীর্ষ কর্তা।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে এসে পৌঁছলেন মার্কিন (US) বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এখানে তিনি ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থনের কথা জানাবেন। তিনি বলেন, আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট এবং সহজ। আমরা ইজরায়েলের পিছনে আছি। মার্কিন সমর বহরও পশ্চিম এশীয় এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। সিরিয়া, লেবানন কিংবা ইরানের দিক থেকে হামাসকে সরঞ্জাম সরবরাহ অথবা ইজরায়েলে হামলা ঠেকাতে সমরসজ্জা করেছে আমেরিকা। অন্যদিকে, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনকে সবরকমের সাহায্য বন্ধ করল জার্মানি।
দেখুন অন্য খবর