মহেশতলা: মহেশতলা অগ্নিকাণ্ডে উঠে আসছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন ফরেনসিক টিম। বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহের পর ফরেনসিক আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্টের কোনও নিদর্শন সেখানে নেই। তাহলে ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল? ফরেনসিক টিমের মন্তব্যের পর খুনের সম্ভাবনাই মাথা চাগা দিয়েছে।
এর আগে আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদেও উঠে এসেছে একের পর এক নতুন তথ্য। অগ্নিকাণ্ডে মৃতা সোমা মণ্ডল ওরফে পুষ্পর আত্মীয়দের অভিযোগ, সোমার দুই ছেলে তার আগের স্বামীর। তা নিয়ে প্রতিদিনই অশান্তি লেগেই থাকত। সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক আগুন লাগানো হয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী প্রভাস মণ্ডলকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সোমার পরিবার সূত্রে খবর, চেতলার বাসিন্দা সোমার দুই সন্তান রাহুল ও সাহেব তার আগের স্বামীর। খুব কম বয়সে স্বামী মারা যাওয়ায় পরিবারের লোক আবার বিয়ে দিয়েছিল তার। ২০১৫ সালে প্রভাস মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় সোমার। চেতলাতেই গাড়ি চালাতেন প্রভাস। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। ওই দুই সন্তান আগের স্বামীর হওয়ায় তাদের একেবারেই পছন্দ করতেন না প্রভাস। সেই কারণেই ইচ্ছাকৃত বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: অনুব্রতকে বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে, বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, সোমার বাড়ির পাশেই একটি দোকানে রাতে থাকতেন প্রভাস। প্রায়শই বাড়িতে বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যেতেন তিনি। তাই আগুন লাগার পরও বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি সোমা।
তাহলে শনিবারও কি ইচ্ছাকৃতভাবেই বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল? গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট না করলে আর কীভাবে আগুন লাগতে পারে বাড়িতে? দুর্ঘটনার সময় মৃতার স্বামী কোথায় ছিলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিস।