Sunday, June 16, 2024

Homeজেলার খবরIISER Researcher Suicide: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে, গবেষকের মৃত্যুর...

IISER Researcher Suicide: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে, গবেষকের মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলন তৃণমূলের

Follow Us :

নদিয়া: চার দিন হতে চলল৷ কল্যাণীর গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসারের তরুণ গবেষক শুভদীপ রায়ের আত্মহত্যার তদন্ত কতদূর এগোল তা নিয়ে মুখে কুঁলুপ এঁটেছে কর্তৃপক্ষ৷ আইসারের এক গাইডের কারণে শুভদীপ চূড়ান্ত অবসাদে ভুগছিলেন৷ সুইসাইড নোটে তার উল্লেখ রয়েছে৷ তাঁকে জেরা করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়৷ তাই তদন্তের অগ্রগতি জানতে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার ক্যাম্পাসের গেটে অবস্থান বিক্ষোভে বসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ দাবি না মানা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাকেশ পাড়ুই৷

রাকেশ পাড়ুই বলেন, ‘চার দিন হয়ে গেল শুভদীপ রায় আত্মহত্যা করেছেন৷ আইসার কর্তৃপক্ষ কী তদন্ত করছে তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি৷ মিডিয়াকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ তাই কী তদন্ত হচ্ছে তা প্রকাশ্যে আনা হোক৷ প্রয়োজনে সিবিআই বা কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক৷ যাঁর নাম সামনে এসেছে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক৷ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷’

সোমবার হরিণঘাটায় আইসার কলকাতা ক্যাম্পাসের ল্যাবরেটরি থেকে উদ্ধার হয় শুভদীপের দেহ। তাঁর বন্ধুরা জানান, রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাবে ছিলেন তিনি। পরদিন বেলা ১১টা নাগাদ ল্যাবের দরজা বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে দেখা যায়, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শুভদীপ। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বন্ধু-স্বজনদের একাংশের অভিযোগ, রিসার্চ গাইডের সহযোগিতা না পেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ‘সুইসাইড নোট’-এ সে কথা লিখেও গিয়েছেন। হাইড্রোজেন সালফাইড নামক বিষাক্ত গ্যাস শুঁকেই শুভদীপ আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান সহপাঠীদের। গবেষণার শেষ তম বর্ষে পৌঁছে মাত্র ২৭ বছর বয়সে এমন রাস্তা বেছে নেন শুভদীপ৷

আরও পড়ুন: Soil mining Raghunathganj: রঘুনাথগঞ্জে বাড়ছে মাটি মাফিয়াদের উৎপাত, গঙ্গা ভাঙনের আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা

পুলিস জানায়, দমদম নাগেরবাজারের বাসিন্দা গবেষক শুভদীপ রায়। বাবা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। ২০১৪ সালে আইসার কলকাতায় ফিজিক্যাল সায়েন্স ইন্ট্রিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হন শুভদীপ। আট বছরের পিএইচডি কোর্সে এটাই ছিল শেষ বছর। অধ্যাপক চিরঞ্জীব মিত্রের তত্ত্বাবধানে চলছিল তাঁর গবেষণা। কিন্তু অভিযোগ, চিরঞ্জীব মিত্র কোনওরকমভাবে গাইড না করার জন্যই চূড়ান্ত অবসাদে হতাশায় মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। এমনটা শুভদীপ নিজেই লিখেছেন তাঁর সুইসাইড নোটে৷ শুভদীপের মা রঞ্জনা রায় মঙ্গলবার দুপুরেই হরিণঘাটা থানায় ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

RELATED ARTICLES

Most Popular