দুর্গাপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফের জেরার মুখে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠরা। সোমবার দুর্গাপুরের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দিতে আসেন বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায় ও জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি
শেখ আবদুল মান্নান। এদিন সিবিআই আধিকারিকরা ময়ূরেশ্বরের বিধায়ককে প্রায় আধঘণ্টা জেরা করেন। তিনি ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যান।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিজিৎ জানান, ২০২১ সালে বিধানসভার ভোট ফলাফলের দিন ২ মে কেন অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন। সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সেই প্রশ্নের উত্তরের জবাবও দেন তিনি। এছাড়াও ২ মে খুন হওয়া ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে চিনতেন কি না তাও জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করবেন।
অন্যদিকে, বীরভূমের তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ আবদুল মান্নানও অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দিতে আসেন। তিনি জেরার পরে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে জানান, কী কারণে তাঁকে সিবিআই ডেকেছিলেন সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর মোবাইল ফোন সিবিআই নিয়ে কল লিস্ট দেখেন। এছাড়া কোনও কিছু বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি বলে দাবি করেন তিনি। তবে মান্নানবাবু সিবিআই আধিকারিকদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেবেন বলে জানান।
ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কয়েকটি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তার মধ্যেই রয়েছে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের মামলা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যেই বীরভূম এবং বর্ধমানের প্রায় আট জন বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।