হিজাব না পরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ এক ইরানি মহিলা অ্যাথলেটকে জেলে পোরা হতে পারে। ইরান ওয়্যার নামে এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হিজাব না পরে খেলার জন্য তাঁকে বিমানবন্দর থেকেই সোজা এভিন জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্লাইম্বিং প্রতিযোগিতায় হিজাব ছাড়াই অংশ নেন ইলনাজ রেকাবি নামে ওই ইরানি তরুণী।
ইরানের ক্লাইম্বিং ফেডারেশনের প্রধান রেজা জারেই ওই প্রতিযোগীকে সিওলস্থিত ইরানি দূতাবাসের বাড়িতে বুঝিয়েবাঝিয়ে নিয়ে গিয়ে বন্দি করতে সাহায্য করেন। তার আগেই তাঁকে ওই নির্দেশ পাঠান দেশের অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান মহম্মদ খোস্রাভিভাফা। তাঁকে আবার এই নির্দেশ দেয় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড কোর। তরুণী প্রতিযোগী রেকাবিকে নিরাপদে দেশের মাটিতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তাঁকে দূতাবাসে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Tejashwi Yadav: আদালতে ধাক্কা সিবিআইয়ের, তেজস্বীর জামিন বাতিল করল না দিল্লি হাইকোর্ট
সংবাদমাধ্যমকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইলনাজ যে হিজাব ছাড়াই ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন, তা একমাস আগেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তিনি নিজেও জানতেন, দেশের আইন ভঙ্গ করেই প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন। তা সত্ত্বেও ইলনাজ খেলার শেষে অন্য দেশের কাছে আশ্রয়ের আর্জি জানাননি। কারণ, তাঁর স্বামী ইরানেই রয়েছেন। ইরানের যে দল সিওলে গিয়েছিল, তাদের ফেরার সূচি ছিল আলাদা। তাঁদের মধ্যে কেবলমাত্র এই তরুণীকেই তুলে নিয়ে আসা হয় দূতাবাসে।
প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রকের পদস্থ কর্মী রেজা জারেই তরুণী অ্যাথলেটকে বলেন, তিনি যদি তাঁর হাতে পাসপোর্ট ও মোবাইল দিয়ে দেন, তাহলে তাঁকে নিরাপদে ও গোপনে দেশে পৌঁছে দেবেন। দূতাবাস থেকে তরুণীকে বিমানে তুলে নিয়ে আসা হবে ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই সোজা তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে এভিন জেলে।
তাঁকে এইভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কারণ ফেরার সময় বিমানবন্দরের গন্ডগোল এড়াতে চাইছে সরকার। কারণ, বুধবার টিমের সঙ্গে তিনি যখন ফিরবেন, তখন তাঁকে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনকারীদের সামনে থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চাইছে পুলিশ।