ব্রাসেলস: তালিবানের আফগানিস্তান দখল এবং ওই দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ ঘানির দেশত্যাগ ঘিরে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। যার বড় প্রভাব পড়তে চলেছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে। এই অবস্থায় আসরে নামল উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো(NATO)।
গত কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তানের শহরগুলি দখল করা শুরু করে তালিবান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র দেশ চলে গিয়েছে তালিবানের দখলে। গত রবিবার রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবান। তারপর থেকে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বহু মানুষ দেশান্তরিত হয়েছেন। অনেকের প্রাণ গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অভিযোগ ছিল বলেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা, বুঝিয়ে দিল হাইকোর্ট
এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসরে নামে ন্যাটো। এমনই জানিয়েছেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব জেসন স্টলবারবার্গ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “আমাদের(ন্যাটো সদস্যদের) সমন্বয় অব্যাহত বজায় রাখতে এবং আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগামী ২০ অগস্ট শুক্রবার ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
আরও পড়ুন- আফগানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা নিবাসী ‘সীমান্ত গান্ধী’র নাতনি
ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ১৯৪৯ সালে ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর সদর দফতর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য দেশের সংখ্যা ৩০। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। জেসন স্টলবারবার্গ বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেসন স্টলবারবার্গ ন্যাটোর ত্রয়োদশ মহাসচিব। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ওই দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লেবার পার্টির সদস্য। ২০০০ সালে তিনি প্রথমবার নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। যার মেয়েদ ছিল মাত্র এক বছর। এরপরে ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জেসন স্টলবারবার্গ।