ইসলামাবাদ: বিদায় নিশ্চিত৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কী বলেন ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan), জানতে কৌতূহলী সবাই৷
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল বুধবার৷ কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তা বাতিল করে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। টুইট করে এ কথা জানান পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন। তার আগে আজ নিজের বাসভবনে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির বৈঠকের ডাক দেন ইমরান। সেখানে উপস্থিত হন সরকার এবং সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তারা৷ ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়াও৷ সূত্রের খবর, গদি টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সুইং সুলতান৷ যদিও বিরোধীদের দাবি, ইমরানকে সরতেই হবে৷ সরকার বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনীয় সংখ্যা তাঁর নেই৷
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আসন সংখ্যা ৩৪২টি৷ সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৭২টি আসন৷ বর্তমানে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের কাছে রয়েছে ১৫৫ জন সাংসদ৷ অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১৭টি আসন কম রয়েছে ইমরানের দলের৷ কিন্তু ২০১৮ সালে ছোট দলগুলির সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার গঠন করেন ইমরান খান৷ কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে ছোট দলগুলি একে একে বিরোধী জোটে যুক্ত হয়৷ তাতেই দূর্বল হতে থাকে তেহরিক-ই-ইনসাফ৷ পাক মিডিয়া জিও টিভি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৬৪ জন সাংসদের সমর্থন জোগাড় করতে পেরেছে শাসক দল৷ কিন্তু বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন ১৭৭ জন সাংসদ৷ বিরোধীদের বক্তব্য, চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এবার উইকেট বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন না ইমরান৷
সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হয়েছে৷ এবার হবে আলোচনা৷ আজ বিকেল ৪টে থেকে আলোচনা চলবে পাক সংসদে৷ এদিকে বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান৷ বুধবার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সাংবাদিকদের হাতে একটি চিঠি তুলে দেন তিনি৷ সরাসরি তিনি আঙ্গুল তোলেন আমেরিকার দিকে৷ যদিও মার্কিন প্রশাসন অভিযোগ খারিজ করে দেয়৷ জানিয়ে দেয়, অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পিছনে আমেরিকার কোনও হাত নেই৷ তারা কোনও চিঠিও পাঠায়নি৷