কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আফগানিস্তানে চলমান অশান্তিতে এবার নয়া মোড়। হিংসা রুখতে তালিবানকে ‘ক্ষমতা বন্টন’র প্রস্তাব দিল আশরাফ ঘানি সরকার। বৃহস্পতিবার তালিবানের সদর দফতর কাতারের দোহাতে এমনই এক প্রস্তাবপত্র পাঠানো হয় আশরাফ ঘানি প্রশাসনের তরফে। যেখানে আফগানিস্তানে দুপক্ষের এই লড়াইতে কাতারকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে আর্জি জানিয়েছে কাবুল। তবে এই প্রস্তাবে এখনও পর্যন্ত তালিবানের পক্ষ থেকে কোনও প্রতুত্তর আসেনি বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিমানবন্দরে রকেট হামলা তালিবানদের
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর গত কয়েকমাস ধরে আফগান সরকারের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে লিপ্ত তালিবান। আগ্রাসী হামলায় ইতিমধ্যেই দেশটির সিংহভাগ এলাকাই দখল নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। বহু প্রদেশ দখল করে ইতিমধ্যেই রাজধানী কাবুলের দরজায় কড়া নাড়ছে তালিবান। সম্প্রতি আফগান সরকারের প্রধান মিডিয়া আধিকারিককে হত্যা করে সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে আসরাফ ঘানি প্রশাসন। এছাড়াও কাবুলের পার্শ্ববর্তী জযওয়ান, হেলমন্দ, ফারহার মতো স্ট্র্যাটেজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ গুলিতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে তারা। এদিন আফগানিস্তানের দশম প্রদেশ গজনীকেও নিজেদের করায়ত্তে নেয় তাঁরা। আর যারফলে কৌশলগতভাবে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়তে হয়েছে আফগান সরকারকে।
এই লড়াইতে ইতিমধ্যেই প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আফগান প্রশাসনকে। বহু সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার আফগান জওয়ান। যার জেরেই কার্যত কোনঠাসা কাবুল। এমন প্রেক্ষিতে একরকম আত্মরক্ষা, পাশাপাশি শান্তিস্থাপনে এই ‘ক্ষমতার বন্টন’ নীতিকেই অবলম্বন করতে চাইছে ঘানি প্রশাসন। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহল।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক দ্বন্দ্বে সামিল হবে না তাঁরা, স্পষ্ট জানালেন তালিবান মুখপাত্র
যদিও আফগান-তালিবানের মধ্যে ‘ক্ষমতার বন্টন’ নীতিটি কীভাবে কার্যকর করা হবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে কাবুলের এই প্রস্তাবে তালিবান আদৌ রাজি হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দীহান কূটনৈতিকমহল।