কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে৷ রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লাখো লাখো সেনা মোতায়েন করছে৷ আমেরিকা রাশিয়াকে সতর্ক করলেও কোনও পাত্তা দিচ্ছে না বললেই চলে৷ এরকম অবস্থায় সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘‘ন্যাটো জোটই’’ তাঁর দেশকে রক্ষা করতে পারে৷
যুদ্ধ যে অবশ্যম্ভাবী তা একপ্রকার নিশ্চিত পশ্চিমি দেশগুলো৷ তাই বিভিন্ন দেশ ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের ঘরে ফেরাচ্ছে৷ এ প্রসঙ্গে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের কিয়েভ থেকে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া মার্কিন সহ পশ্চিমের দেশের জন্য ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত৷’’
#BREAKING Ukraine leader Zelensky says 'mistake' for some Western countries, including US, to move embassies from Kyiv pic.twitter.com/DXpLfywxrc
— AFP News Agency (@AFP) February 14, 2022
আমেরিকার ধারণা যে কোনও রকম অজুহাত দেখিয়ে ইউক্রেনে হামলা করবে রাশিয়া৷ হামলা কবে হবে? আমেরিকা জানিয়েছিল, বেজিং অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার আগে আকাশপথে মিসাইল ছুড়ে যে কোনও সময় যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দেবে রাশিয়া৷ এই মুহূর্তে কিভে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ মঙ্গলবার তাঁর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা৷ দু’জনের মধ্যে ইউক্রেন নিয়ে কথা হয়৷ বৈঠকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ দু’পক্ষের বোঝাপড়াতে যুদ্ধ পরিস্থিতি বদলাতে পারে৷
#BREAKING German Chancellor Scholz urges Russia to take up offers of 'dialogue' pic.twitter.com/0aymQ93xUd
— AFP News Agency (@AFP) February 14, 2022
জার্মান চ্যান্সেলর চলে যাওয়ার পরই রাশিয়া অগ্রসর হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গোপন রিপোর্ট দিয়েছিল আমেরিকার গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি৷ যদিও সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, ঠিক কোন দিন হামলা হবে সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে না৷ কিন্তু আমরা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছি৷ এটা বলতে পারি, ন্যাটো এলাকার এক ইঞ্চি জমি আমেরিকা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর৷
আরও পড়ুন- Ukraine crisis: ইউক্রেনে যুদ্ধের রসদ মজুদ করছে আমেরিকা, চরম উত্তেজনা
রবিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কির সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন৷ রাশিয়াকে প্রতিহত করতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে সম্মত হন তাঁরা৷ বাইডেনকে ইউক্রেনে আসার আমন্ত্রণও জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির৷ এদিকে হামলা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলো অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেমলিনের৷ উল্টে রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটোকে মোতায়েন করে মস্কোর উপর আমেরিকা চাপ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের৷ ওইদিন ফোনে পুতিন জো বাইডেনের কাছে নিশ্চয়তা চান, রাশিয়ার পূর্ব সীমান্ত থেকে ন্যাটো বাহিনীকে সরিয়ে নিতে হবে৷ ইউক্রেনে ন্যাটো বাহিনী প্রবেশ করবে না৷