কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বড় রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আর অন্যান্য মামলাগুলির তদন্তের জন্য সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যা নিয়ে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী খুনের ঘটনায় তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ হাই কোর্টের
হাইকোর্টের রায় প্রকাশের পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি। আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা শর্মা টিব্রেওয়ালকে পাশে বসিয়ে শমিক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের ৪৩ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে ভোটের পরে। ১৫ হাজার কর্মী এখনও ঘর ছাড়া। তালিবানি কায়দায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।” আদালতের রায়কে বিজেপি স্বাগত জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন শমিকবাবু। বিজেপির পাশাপাশি বাম-কংগ্রেসের নেতাকর্মীরাও তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বিধাননগরে কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা
পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল যে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলা। বহু কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক বিজেপি কর্মীর বাড়ি এবং দোকানে হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় চার মাস ধরে বিজেপির অনেক কর্মী ঘর ছাড়া হয়ে রয়েছেন। যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন- ময়নাগুড়িতে পুলিশের সঙ্গে নারায়ণী সেনার বচসা, আটক ২৫
কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগের তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে আদালত। যেখানে বলা হয়েছে যে ভোট পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠিত হবে।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের রায়ে অখুশি রাজ্য, সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার ভাবনা
এই প্রসঙ্গে বিজেপির আইনজীবী নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, “ভোটের পরে বাংলায় যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা রধ করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মানুষের জন্য সুবিচার দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আইনের অপব্যবহার করা হয়।”