কলকাতা: তাঁরা গুণী মানুষ। তাঁদের সৃষ্টি আমাদের অহঙ্কার। তাঁদের কথা আমাদের গর্ব। এমনই কিছু মানুষ আজ মিলিত হয়েছিলেন এক প্রতিবাদ সভায়। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদানের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে।
কেন প্রতিবাদ?
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। নামটাই যথেষ্ট। সেই মানুষটিকে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। প্রতিবাদটা এখানেই। প্রথমত দীর্ঘ প্রতীক্ষা। দ্বিতীয়ত পদ্মবিভূষণ-পদ্মভূষণ নয়। ঘোষণা পদ্মশ্রীর। পদ্ম পুরস্কারের ক্রম তালিকায় যা সবচেয়ে নীচে।
কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান শুভাপ্রসন্ন, কবীর সুমন, আবুল বাশার, অনন্যা চক্রবর্তী, সুদেষ্ণা রায়রা। টাঙানো হয়েছিল বড় বড় ব্যানার। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সমাজের আরও গন্যিমান্যিকে। কিন্তু গোল বেধেছে ব্যানারে।
আরও পড়ুন- Sandhya Mukhopadhyay rejects Padma: এই ভাবে পদ্মশ্রী সন্ধ্যার অপমান, বললেন সুমন-শুভাপ্রসন্নরা
কীসের গোল?
বানান বিভ্রান্তি। নিঃসন্দেহে ছাপার ভুল। ‘সম্মান’ হয়ে গিয়ে গিয়েছে ‘সস্মান’। অনুষ্ঠানের বক্তা এমন প্রতিষ্ঠিতরা, সেখানে এমন বানান বিভ্রান্তি। সাংবাদিক সম্মেলনের ছবি প্রকাশ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে ‘সস্মান’ও। যা দেখে নিন্দুকেরা টিপ্পনিও কাটছে। বলছেন, সম্মানের বানান দেখেই তার ‘আকার’ বোঝা গিয়েছে। আসলে সবটাই রাজনীতি। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক কিছুই ভুলতে বসেছেন মানুষগুলো।
বানান বিভ্রান্তি দেখে সাফাই দিয়েছেন বক্তারাও। স্বীকার করছেন ভুল হয়েছে। বলছেন, “এটা দেখা উচিত ছিল। চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। এটা ছাপার ভুল।”
ভুল যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু, ভাইরাল হওয়া কি আটকানো যায়…