কলকাতা: বিচারবিভাগীয় কমিটির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তার মধ্যেই এসএসসি (SSC Report) সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ ৫৭৩ জন স্কুলকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শনিবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি। আগামী সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি (WBSSC Recruitment Controversy) রয়েছে।
এসএসসি-র (School Service Commission) মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়মবহির্ভূত (SSC Group-D Corruption) ভাবে ৫৭৩ জনকে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে বড়সড় দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করে, ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ হওয়া এই স্কুলকর্মীদের বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা স্কুল পরিদর্শককে।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের কমিটি। এসএসসি গ্রুপ-ডি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চেই এই কমিটি গড়ে দিয়েছিল। এই কমিটিকে দু-মাস সময়ও দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতির উল্লেখ করে, আদালতের কাছে আরও চার মাস সময়ে চেয়ে গত সপ্তাহেই আবেদন করেছিল বিচারবিভাগীয় কমিটি। কমিটির তরফে জানানো হয়েছিল, কয়েক জনকে সামনাসামনি ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ অতিরিক্ত দু-মাস সময় দিতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন- Jagdeep Dhankhar: রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা রাজ্যপালের
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বেঞ্চই এসএসসি গ্রুপ-ডি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল এসএসসি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গড়ে দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। কার সুপারিশে বেআইনি ভাবে এসএসসির নিয়োগ হয়েছিল, তা অনুসন্ধানেরই দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত বাগের কমিটিকে।
ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আর্জিতে মূলত দু’টি দাবি জানিয়েছে বিচারবিভাগীয় কমিটি। এক, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বেশকিছু অংশ বাতিল করা হোক। দুই, আদালতের বেঁধে দেওয়া তদন্তের সময়সীমা বাড়ানো হোক।