কলকাতা: দক্ষ মেয়র ছিলেন। সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। রবীন্দ্র সদনে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে এই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বলাই বাহুল্য, এই মন্তব্যই দিচ্ছে বামেদের অন্দরেও ঠিক কতটা জনপ্রিয় ছিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
২৬ বছর বয়সে মন্ত্রী হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ট্রেড ইউনিয়্নের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। সে কারণেই বাম নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সুব্রতর। বিধানসভার লবিতে দাঁড়িয়ে যেমন বাম বিধায়কদের সঙ্গে আড্ডা মেরেছেন, তেমনই কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠানে গিয়ে ক্যারাম খেলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে। এমনই বর্ণময় চরিত্র ছিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কেমন ছিলেন ব্যক্তি সুব্রত? স্মৃতিচারণায় শাসক থেকে বিরোধীরা
সে কারণেই তাঁকে শেষ বার দেখতে রবীন্দ্র সদনে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু বাম নেতা। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা যেমন এসেছিলেন, ঠিক তেমনই সুদূর রায়দিঘি থেকে ছুটে এসেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যরাও এসেছিলেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে সকলে জড়ো হয়েছিলেন রবীন্দ্র সদনে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত ছিল সুব্রতর দেহ। এর পর বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের মুখ্য সচেতক পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিধায়করা তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপি বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন। তার পর সুব্রতর বাড়ি হয়ে বিকেলে দেহ পৌঁছয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। কেওড়াতলায় গান স্যালুটের মাধ্যমে চিরবিদায় জানানো হয় সুব্রতকে।
আরও পড়ুন: ‘সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়’, মন্ত্রীর শেষ যাত্রায় থাকবেন না মমতা