skip to content
Sunday, June 16, 2024

skip to content
HomeCurrent Newsহাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপালকে আক্রমণ মমতার

হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপালকে আক্রমণ মমতার

Follow Us :

কলকাতা: জিটিএ-কে ‘দুর্নীতির আখড়া’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার সেই বক্তব্যের পাল্টা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷। হাওয়ালা কাণ্ডের উদাহরণ টেনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ করলেন। বললেন, ”উনি নিজে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে কার নাম উল্লেখ ছিল? তারপর কীভাবে পার পেয়েছেন? জিটিএ-র দুর্নীতির কথা বলার আগে উনি কাদের নিয়ে, কত খরচ করে দার্জিলিং গেলেন, রাজভবনে কত খরচ হলো, সে সব নিয়ে তদন্ত হোক।” আর জিটিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”রাজ্য সরকার নিজেই অডিট করছে, ক্যাগের অডিট প্রয়োজন নেই।”

এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বক্তব্য, ”হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে তো ওঁর নাম ছিল। উনি কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত, তা দেখা হোক আগে। ওঁরই তদন্ত প্রয়োজন আগে। আমি এমন রাজ্যপাল দেখিনি আগে কখনও।” এরপরই রাজ্যপালের অপসারণের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”যতদিন এ রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন, ততদিন কাজ করব এক সঙ্গে। এটা সৌজন্য, কর্তব্য। ওঁকে সরানোর জন্য তিনটে চিঠি দিয়েছি কেন্দ্রকে। এবার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলে মনে হয়। এখনও কেন্দ্রের দিক থেকে কোনও উত্তর পাইনি।”

দিন কয়েক আগে হাওয়ালা কাণ্ডে জৈনদের ডায়েরি প্রকাশ্যে আসে৷ তাতে তালিকার একেবারে শেষে লেখা ধনখড় নাম ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। কে এই ধনখড়? এই ধনখড় আর এ রাজ্যের মাননীয় রাজ্যপাল কি একই ব্যক্তি? তা হলে কি এক সময় হাওয়ালা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

১৯৯৬ সাল৷ এক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল দেশের রাজনীতি৷ নানা কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ছিল নরসিমা রাওয়ের সরকার৷ আর তখনই হাওয়ালা কারবারের কথা প্রকাশ্যে আসে৷ তোলপাড় পড়ে যায় দেশে৷ অনেক নেতা, মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যায় হাওয়ালা কারবারে৷ অন্তত ১১৫ জন রাজনীতিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ নরসিমা রাও মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রীর নামও জড়িয়ে যায়৷ উঠে এসেছিল বিজেপি নেতা এল কে আদবানির নামও৷

একই ভাবে হাওয়ালা কাণ্ডে নাম জড়ায় জগদীপ ধনখড়ের৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এক সময় জনতা দলের সাংসদ ছিলেন৷ বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ধনখড়৷ কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে জনতা দল বেশিদিন কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি৷ জনতা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ইস্তফা দেন উপ প্রধানমন্ত্রী দেবীলাল৷

দেবীলালের সমর্থনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন জগদীপ ধনখড়ও৷ যদিও পরের দিনই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে মন্ত্রীর পদে ফিরে যান তিনি৷ ধনখড় পরবর্তীকালে যোগ দেন বিজেপিতে৷

RELATED ARTICLES

Most Popular