কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী-কন্যাশ্রী- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো ছিলই, এবার ‘দুয়ারে সরকারে'(Duare Sarkar) মিলবে আরও ৬টি নয়া পরিষেবা। অর্থাৎ এতদিন ২৭টি পরিষেবা মিলতো, এখন থেকে ৩৩টি পরিষেবা মিলবে শনিবার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব, আধিকারিক, ছাড়াও কলকাতা পুরসভার কমিশনার, জেলা শাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও ‘দুয়ারে সরকারের’ লোগোও (Duare Sarkar Logo) পরিবর্তন করা হয়েছে।
এতদিন ‘খাদ্যসাথী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সহ ২৭ রকমের পরিষেবা মিলত। এবার সেখানে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের ‘মেধাশ্রী প্রকল্প’, ‘চোখের আলো’, ‘পথশ্রী’, ‘প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের জন্য আবেদন’, ‘স্পিংলার সেচের জন্য সরকারি আর্থিক সাহায্য’, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অন্তর্গত ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের মতোপরিষেবাগুলিও যুক্ত হচ্ছে। রাজ্যের ওবিসি পড়ুয়াদের বছরে ৮০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে ‘মেধাশ্রী প্রকল্পে’র মাধ্যমে। এবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। রাজ্য সরকারের ‘চোখের আলো’ কর্মসূচি থেকে এটি বাস্তবায়িত করা হবে। এর জন্য জেলাশাসক ও সিএমওএইচকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যিনি চোখ পরীক্ষা করাবেন তাঁকে তিন দিন আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই উদ্বোধন হবে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের। উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে সেরার শিরোপাও পেয়েছে ‘দুয়ার সরকার’ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের পাবলিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম ক্যাটেগরিতে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পেয়েছে রাজ্যের এই প্রকল্প।
আরও পড়ুন:Birbhum News | চিকিৎসা করাতে আসা ৮ বছরের শিশুকে মারধরের অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে
১ এপ্রিল থেকে রাজ্য ফের শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের দুয়ারে সরকার শিবির হবে দু’টি পর্বে। প্রথম দশ দিন ধরে চলবে আবেদন জমা নেওয়ার কাজ। বাকি দশ দিন চলবে সমাধানের কাজ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই শিবিরকে আরও নিখুঁত করতে চাইছে রাজ্য সরকার, যাতে কোনও অভিষোগই নিষ্পত্তিবিহীন না হয়ে পড়ে থাকে। এর জন্য এসওপি (স্ট্যার্ডাড অপরারেটিং প্রসিডিওর) বা নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি প্রকাশ করেছে নবান্ন। এই এসওপি অনুযায়ী তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়লে দ্রুত তা সন্ধান করার জন্য বিশেষ টিম তৈরি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় এই প্রকল্প। গত ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের পাঁচটি দফা সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছে সফলভাবে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।