এলাহাবাদ: তাৎপর্যপূর্ণ রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের। মৃত্যুর কারণ যা-ই হোক, কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গেলে তা কোভিডজনিত মৃত্যু বলেই গণ্য করা হবে বলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। আদালত বলেছে, করোনার চিকিৎসা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট রোগী হৃদ রোগে বা অন্য কোনও কারণে মারা গেলেও তা করোনায় মৃত্যু বলে বিবেচনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির পরিবার বা আত্মীয়কে ৩০ দিনের মধ্যেই ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দিতে হবে সরকারকে। এই নির্দেশ না মানলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ৯ শতাংশ সুদ সমেত এই টাকা দিতে হবে। বিচারপতি এ আর মাসুদি এবং বিচারপতি বিক্রম ডি চৌহানের বেঞ্চ জানিয়েছে, কোভিড সংক্রমণ শরীরের যে কোনও অঙ্গে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। ফলে মৃত্যুর মূল কারণ করোনাই। এ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানির পর এই নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Sanjay Raut: টানা ৬ ঘন্টা জেরার পর গভীর রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার সঞ্জয় রাউত
উল্লেখ্য, কোমর্বিডিটি থাকা অবস্থায় কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হলে তা করোনার কারণেই নাকি কোমর্বিডিটির কারণে, তা নিয়ে করোনা পর্বের শুরু থেকেই দেশে বিদেশে জোর বিতর্ক চলে। অভিযোগ ওঠে, ভারতে অনেোক রাজ্য সরকার করোনায় মৃত্যুর হার কমিয়ে দেখানোর জন্য কোমর্বিডিটির তত্তব খাড়া করে। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি ডেথ অডি কমিটিও গঠন করে। নিরোধীরা দাবি করে, করোনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা আড়াল করার জন্যই রাজ্য সরকার এই কমিটি গঠন করেছে। এই বিতর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকাও ছিল বিভ্রান্তিকর। তারা এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট নির্দেশিকা না দেওয়ায় বিভিন্ন দেশই তা নিয়ে বিভ্রান্তির শিকার হয়েছিল। এখই কারণে বিভ্রান্তিতে পড়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চও। বিতর্কের আঁচ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অবশেষে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় এই বিতর্কের নিষ্পত্তি হল বলে অনেকে মনে করছে।