skip to content
Sunday, June 16, 2024

skip to content
HomeকলকাতাAmartya Sen | বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিসের বিরুদ্ধে আদালতে অমর্ত্য সেন

Amartya Sen | বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিসের বিরুদ্ধে আদালতে অমর্ত্য সেন

Follow Us :

বোলপুর: বিশ্বভারতীর ‘উচ্ছেদ’ হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে এবার আদালতের দ্বারস্থ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সিউড়ি জেলা জজ কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে অমর্ত্য সেনের পক্ষ থেকে। আগামী ১৫ মে শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। বিশ্বভারতী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অমর্ত্য সেনকে উৎখাত করতে চাইছে, এই মর্মে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও বিশ্বভারতীর তরফ থেকে ৬ মে-র মধ্যে জমি খালি করার নোটিস দেওয়া হয়েছে প্রবীণ শিক্ষাবিদকে। 

অমর্ত্য সেনকে জমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে তাঁর ‘প্রতীচী’ বাড়ির গেটে নোটিস আটকে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর দাবি, অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। ১৯৭১ সালের ভূমি দখলদারী উচ্ছেদ আইনে নোটিস ধরানো হয়েছে তাঁকে। ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে জমি খালি করার। ৬ মে-র মধ্যে জমি খালি করতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: North Bengal Bandh | বনধে বিজেপির তাণ্ডব কোচবিহারে, ২টি বাস ভাঙচুর, জখম চালক

বিশ্বভারতী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অমর্ত্য সেনকে জমি খালি করতে জোর করছে। এমনটাই জানিয়েছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি জানান, মামলা গৃহীত হয়েছে সিউড়ি জেলা জজ কোর্টে। সামনের মাসের ১৫ তারিখ তার শুনানি রয়েছে।

যদিও এর আগেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati campus) উচ্ছেদ নোটিসের জবাব দেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর নোটিসের (Notice)  কোনও আইনি বৈধতা নেই। শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী নিয়ে বিতর্ক। চূড়ান্ত উচ্ছেদ নোটিস বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল। অমর্ত্য সেন জানিয়ে দেন বিশ্বভারতীর দাবির বৈধতা নেই। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (Joint Registrar) ও এস্টেট অফিসার (Estate Officer) একে মাহাতকে ইমেল করেন অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর কিছু অংশ আমার পৈতৃক বাড়ি প্রতীচী নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ১৯৪৩ সাল থেকে ওই বাড়ি আমাদের দখলে রয়েছে। আমাদের পরিবার তা ব্যবহার করছে। আমি এই জমির মালিক। বাবা আশুতোষ সেন ও মা অমিতা সেনের মৃত্যুর পর এই জমির মালিক আমি। এটাই উচ্ছেদ নোটিসের পর ৮৯ বছরের অর্থনীতিবিদের প্রথম জবাব। 

১৭ এপ্রিল ইমেলে অমর্ত্য সেন লিখেছেন, ৮০ বছর ধরে এই জমির ব্যবহার হয়ে আসছে। লিজ জমির সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও দাবির গুরুত্ব নেই। শান্তিভঙ্গকারী কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেছেন জুন মাসে তিনি শান্তিনিকেতনে আসবেন। বিশ্বভারতীর ১৩ এপ্রিল নোটিসে বলা হয়েছে এর আগের চিঠির জবাব দেননি অমর্ত্য সেন। মার্চ মাসের ১৭ তারিখ জমির একটি অংশে বেআইনি দখলদারির উচ্ছেদ নোটিস। 

RELATED ARTICLES

Most Popular