কলকাতা: লালন শেখের মৃত্যু (Lalan Sheikh Death) ঘিরে নতুন করে শিরোনামে বগটুই (Bogtui )। চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সোমবারের ঘটনার পর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান লালনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। যদিও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয় গ্রামে।
আর আজ সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ‘রহস্যমৃত্যু’ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতিও দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালনের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল উঠেছে। এই প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টেও দায়ের হল মামলা।
আরও পড়ুন: BJP Leader – Actor Paresh Rawal: ২ মাস সময় চেয়ে তালতলা থানায় হাজিরা এড়ালেন পরেশ রাওয়াল
উল্লেখ্য, গত মার্চে বগটুই গণহত্যার পর এবার লালন শেখের মৃত্যু নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওই গ্রামের মানুষদের। এর আগে ভাদু শেখের মৃত্যুর পর যে ভয়াবহতা দেখা গিয়েছিল, লালনের মৃত্যুর পর নতুন করে যেন সেই আতঙ্কই গ্রাস করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। লালনের পরিবার এই ঘটনার পরই দাবি করেছে, লালনকে মারধর করা হয়। যদিও সিবিআই সূত্রে দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। পুলিশ যদিও লালনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে।