skip to content
Monday, June 17, 2024

skip to content
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | জি টোয়েন্টি এবং মোদিজির ধ্যাষ্টামো 

Fourth Pillar | জি টোয়েন্টি এবং মোদিজির ধ্যাষ্টামো 

Follow Us :

এতগুলো দেশ এল, এত বড় বড় নেতা, যদিও চীন আর রাশিয়ার শি জিনপিং আর পুতিন আসেননি, তাতে কী? বাকিরা তো এসেছে, সাদা চামড়ার কত মানুষ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এসেছেন, ফ্রান্সের ম্যাক্রোঁ, কানাডার জাস্টিন ট্রুডো, ব্রিটেনে আমাদের ঘরের ছেলে ঋষি সুনক, এবং মধ্যমণি আমাদের নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। ভক্তকুল আপ্লুত, ২০টা দেশের নেতা মোদিজি এবার বিশ্বগুরু। এতগুলো দেশ এল, কেউ কি আমাদের দেশের দারিদ্র নিয়ে একটা কথাও বলেছে? মণিপুর নিয়ে? কেউ কি বলেছে ২০টা দেশের একদম তলায় তলানিতে কেন আমাদের দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়? না, কেউ বলেনি, তবে? এসব তো বিরোধীদের হিংসে, আর অকারণ বিরোধিতা। ভক্তদের সঙ্গে নাচছে সংবাদমাধ্যম, বড় বড় টেলিভিশন চ্যানেলের অ্যাঙ্কর কাম সাংবাদিকেরা। এ বাংলায় চোখে চোখ রাখা মাথায় গুবরে পোকা ঠাসা এক সাংবাদিক এতদিনে খুঁজে পেয়েছেন গর্বের বিষয়, আমাদের দেশের পতাকা সবার আগে রয়েছে, তাহলে তো আমরাই বিশ্বগুরু। সে ছাগলের জানাই নেই যে এর আগের সামিটে ইন্দোনেশিয়ার পতাকা, তার আগের সামিটে আর্জেন্টিনার পতাকা, তার আগের সামিটে জাপানের পতাকা, তার আগের সামিটে চীনের পতাকা সামনে ছিল। কারণ হোস্ট কান্ট্রি, আয়োজক দেশের পতাকা আগে রাখা হয়, তারপর বাকি দেশের পতাকা অ্যালফাবেটিক্যালি থাকে। ওঁর চিল্লানোসরাস দাদা ওঁকে এইটুকু শিক্ষা না দিয়েই মাঠে নামিয়েছেন, বা এটা নির্জলা শয়তানি। সে থাক, এটা তো সত্যি কথা ভারতে যদি গণতন্ত্র না থাকত, যদি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হত, যদি সাংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকত তাহলে এই যে ২০টা দেশের মানুষ, তাঁরা একটা কথাও তো অন্তত বলতেন। না বলতেন না, দুটো কারণে বলতেন না, বলবেন না বা বলেননি। আসব সে আলোচনায় কিন্তু তার আগে চলুন একটু ১৯৩৬-এর জার্মানিতে যাওয়া যাক। 

এই জি টোয়েন্টির থেকে অনেক অনেক বড় ইভেন্ট, সামার অলিম্পিক্স সেবার বসেছিল বার্লিনে। বার্লিন অলিম্পিক্স। ৪৯টা দেশ, আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, ইতালি, জাপান, ব্রাজিল, পোল্যান্ড, এমনকী ফ্রান্স, নরওয়ে, আর ক’দিন পরেই যারা জার্মানির অধীনে থাকবে, ৪৯টা দেশ এসেছিল। লিথুয়ানিয়াকে আসতে দেওয়া হয়নি তাদের নাৎসি বিরোধিতার জন্য। রাশিয়া ১৯২০ থেকেই অলিম্পিক্সে আসত না, ৫২ সালে আবার তারা অলিম্পিক্সে আসে। আর আসেনি স্পেন কারণ সেখানে তখন গৃহযুদ্ধ চলছে। ৪৯টা দেশের খেলোয়াড় এসেছেন, অন্যান্য প্রতিনিধিরা এসেছেন, রাষ্ট্রপ্রধানরা এসেছেন, বার্লিনে এসেছেন যে শহরে তখন ইহুদিদের জন্য শুয়োরের খোঁয়াড়ের চেয়েও খারাপ অবস্থার ঘেটো তৈরি করা হয়েছে। ১৯৩৩-এই মিউনিখ শহর থেকে মাত্র ক’ মাইল দূরে তৈরি হয়ে গিয়েছে দাহাউ কনসেনট্রশন ক্যাম্প। একজনের মুখেও এসব নিয়ে একটা কথা তো শোনা যায়ইনি, বরং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরোদস্তুর মিলিটারি পোশাকে দাঁড়ানো অ্যাডলফ হিটলারকে নাৎসি ভঙ্গিমায় স্যালুট করেছেন বহু দেশের খেলোয়াড়েরা। মাত্র ন’ বছরের মাথায় ওই বার্লিনে কুকুরের মতো মরে পড়ে ছিল হিটলার। অলিম্পিক্স আয়োজন তাঁকে বিশ্বগুরু করেনি। কিন্তু এখন তো দিনকাল পাল্টেছে, তাই প্রোটোকল বলে একটা কথা চালু হয়েছে, গালভরা এই কথাটা আসলে সত্যি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এক ব্যবস্থা। আয়োজক দেশ ভারত, সাধারণ ডিপ্লোম্যাটিক প্রোটোকল অনুযায়ী এখানে তাঁরা কথা বলতে পারেন না, বলেননি। কিন্তু মোদির হাত থেকে যাঁর হাতে আগামী জি টোয়েন্টির ব্যাটন গেল, সেই লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি, তিনি ব্যাটন হাতে নিয়েই এই দেশে বসেই কিছু জরুরি কথা বলেছেন। বললেন, এমন এক বিশ্বে আমরা বাস করছি, যেখানে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে, কোটি কোটি মানুষ এখনও ক্ষুধার্ত, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সবসময়েই বিপন্ন। এইসব সমস্যার মোকাবিলা আমরা তখনই সম্ভব যখন বৈষম্যের প্রশ্নকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | জওয়ান, শাহরুখ খান 

হ্যাঁ, আগামী জি টোয়েন্টির অধিবেশনে বিশ্বজোড়া আর্থিক সামাজিক লিঙ্গ ও জাতির বৈষম্য উঠে আসবে, যাবেন মোদিজি? কারণ জি টোয়েন্টি দেশভুক্ত সবক’টা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বৈষম্য এই ভারতেই, সে আপনি ভারতই বলুন আর ইন্ডিয়াই বলুন। তো একটা হল প্রোটোকল, দু’ নম্বর কারণ হল বিজনেস, বাণিজ্য। দেশের প্রধানেরা জানেন, ভারতের ৮০ কোটি মানুষকে রেশন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, জানেন মণিপুরে জাতিদাঙ্গা চলছে, জানেন ভারতে মুসলমান বা সংখ্যালঘুদের ক্রমশ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে তোলার কাজ চলছে, জানেন উগ্র হিন্দুত্বের নামে এক ধর্মোন্মাদের রাজত্ব চলছে, যেখানে এসে বাজরার পায়েস খেয়েই ফিরতে হবে। তা হোক, নজরে এদেশের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মাত্র ৩৫ কোটি, যেটা এক বিরাট বাজার, সেই বাজার দখলের লড়াইয়ে ইউরোপ, আমেরিকা সবাই আছে। তাই এ দেশে এসে খামোখা কথা বলে সেই বাণিজ্য নষ্ট করার মতো বোকা ওঁরা নন। আবার দেশের চাপ আছে, আমেরিকায় ফিরে তো বাইডেন কেবল বাজারের কথা বলতে পারবেন না, সেখানে স্বাধীন মিডিয়া আছে, সেখানে তাঁকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তিনি দিতে বাধ্য। আমাদের দেশের মোদিজির মতো আমি সাংবাদিকদের সামনে যাই না বললে দেশের রাষ্ট্রপতিই হওয়া যাবে না। কাজেই জো বাইডেন সে ঝামেলা এড়াতেই মাঝপথে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে সাংবাদিকদের সামনে বলেই দিলেন, মোদিজির সঙ্গে বৈঠকে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, নাগরিক সমাজের মতামতের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। প্রকারান্তরে ভারতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকা, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বা সিভিল সোসাইটির মতামতকে উপেক্ষা করা নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানালেন। এবারে চলুন খাবার প্রসঙ্গে। 

আমরা চিরটাকাল জানি অতিথি সৎকার, মানে অতিথি এলে তাঁর প্রয়োজনীয়তা ও পছন্দ বুঝে তার ব্যবস্থা করা, খাদ্য, পানীয়, আশ্রয় থেকে রাত্রিযাপন ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। রাজা জনক, খেয়াল করুন, ইনি লাঙল চালাতে গিয়ে লাঙলের ফাল, মানে সীতা অংশে এক কন্যাকে পান। অর্থাৎ রাজা কৃষি অর্থনীতির অংশ ছিলেন, সম্ভবত সেই সময়ে গোবধ ইত্যাদি বন্ধ হয়েছে, কৃষি যুগে এসে গো সংরক্ষণের দিকে ঝোঁক বেড়েছিল। কিন্তু তবুও, সীতার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, রাম লক্ষণ ভরত শত্রুঘ্ন তাদের বউ সীতা, ঊর্মিলা, মাণ্ডবী আর শ্রুতকীর্তিকে নিয়ে অযোধ্যা ফিরে যাবেন। এমন সময়ে হই হই রব, পরশুরাম আসছেন, বহুদূর থেকে সে খবর এসেছে। কথায় কথায় শাপ দিতে অভ্যস্ত এই ঋষিকে খুশি রাখতেই জনক আদেশ দিচ্ছেন একটা বেশ নধর গোবৎসের আয়োজন করো, যাতে পরশুরাম তুষ্ট হন। পরে যা ঘটেছিল তা সবার জানা, শিবধনুভঙ্গ ইত্যাদি সবাই জানেন। কিন্তু এটাই রীতি। অতিথি কী খাবেন জেনেই তার ব্যবস্থা করা। আধুনিক সমাজে তা এড়াতেই অনেকেই সম্ভাব্য বহু ধরনের পদ এক জায়গাতেই হাজির রাখেন, যাকে বুফে বলা হয়। একধারে আমিষ, একধারে নিরামিষ, একধারে মিষ্টি কেক ইত্যাদি, অন্যধারে স্যালাদ, অন্যধারে স্ন্যাক্স, পানীয়, নরম-গরম, হালকা, কড়া সবই থাকে, আপনাদের যা খাওয়ার হয় খান। এই তো। ক’দিন আগেই বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজে মোদিজির জন্য নিরামিষ ছিল, ছিল ওয়াইন, মোদিজি হাতে নিয়েছেন, মুখে দেননি। এবারের জি টোয়েন্টিতে যে আয়োজন করা হল তা অতিথিদের জন্য নয়, দেশের মধ্যে এক রাজনীতিকে চাগিয়ে দেওয়ার জন্য। পুরোটা নিরামিষ মেনু, কেন? আমাদের দেশের ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ আমিষ খান, কিন্তু মোদিজি নিরামিষ, মোহন ভাগবত নিরামিষ, তাই? আমাদের দেশের বাটার চিকেন, আমাদের দেশের বিরিয়ানি, আমাদের দেশের ফিশ টিক্কা এখন ইউরোপের অলিতে গলিতে পাওয়া যায়। হ্যাঁ, ইন্ডিয়ান রেস্তরাঁ বলতে ওঁরা ওই খাবারই বোঝেন। মোদিজি কী বোঝাতে চাইছেন? উনি ধোকলা রোটলা পোটলা খান বলে দেশের প্রত্যেক মানুষকে ধোকলা রোটলা পোটলা খেতে হবে? দেশের বৈচিত্র্যে ওঁদের বিশ্বাস নেই, দেশের মানুষের খাদ্যাভাসকে ওঁরা ঘৃণা করেন, সেটাই বেরিয়ে এল এই জি টোয়েন্টি বৈঠকের মেনুকার্ড থেকে। এমনকী যে রাষ্ট্রপ্রধানরা এই নিরামিষই পছন্দ করেন? তাহলে চলুন এর আগের কিছু জি টোয়েন্টি আয়োজনে খাবারের মেনুগুলো দেখা যাক। 

আগের সামিট হয়েছিল বালিতে, ইন্দোনেশিয়াতে। খাবারের তালিকাতে ছিল বিফ টেন্ডারলয়েন স্টেক, ভেজিটেবল রাইস, স্টিমড কড উইথ অ্যাস্পারাগাস, প্রন ক্রাকারস, চকোলেট ম্যুস ইত্যাদি। তার আগে আর্জেন্টিনাতে ২০১৮-র মেনু কী ছিল? স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগটাই মাংস ছিল, রিব আই স্টেক, প্যাটাগোনিয়ান ল্যাম্ব, চোরিপান সশেজ স্যান্ডুইচ। প্রেসিডেন্ট জানাচ্ছিলেন আর্জেন্টিনা কীভাবে বিশ্বে গোমাংসের বড় এক্সপোর্টার হয়ে উঠেছে। জাপানের সামিটে ছিল ডিপ ফ্রায়েড আঙ্গলার ফিশ, তাজিমা বিফ, বেকড অন ব্যাম্বু চারকোল, সুইট কর্নফ্ল্যান পিনড উইথ এডিবল ফ্লাওয়ার্স, সাকে ওয়াইন তো ছিলই। জাপান এই মেনু ১৫টা ভাষায় অনুবাদ করে কী দিয়ে কী কী রান্না করেছে তার বিবরণ দিয়েছিল অতিথিদের। তারও আগে চীনে বসেছিল সামিট, সেখানে ছিল সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ফিশ উইথ টোস্টেড পাইন নাটস, বারাক ওবামা খুব খেয়েছিলেন। ছিল শ্রিম্প, ক্র্যাব মিট, আর বেজিংয়ের ওয়াইন। আমাদের দেশ সেখানে কোন ঐতিহ্যকে রাখল বিশ্বের দরবারে? যাঁরা এলেন তাঁরা জানেন না ফিশ টিক্কা, বাটার চিকেন আর মাটন বিরিয়ানি? জানেন, হোটেলের রুমে ফিরে গিয়ে হয় তো সেগুলোই অর্ডার করেছেন। বিশ্বগুরু হওয়ার কথা বলে মোদিজি আমাদের যে সার্কাস দেখালেন তাকে ধ্যাষ্টামো ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় কি? এক্কেবারে শেষে আসা যাক নাকি ২০০ ঘণ্টা ধরে তৈরি ঘোষণাপত্রে। মোদিজির নেতৃত্বে এই ঘোষণাপত্র দেখে প্রত্যেকেই পিচিক করে হেসেছেন, তারপর সই করেছেন। সুকুমার রায়ের ননসেন্স কবিতাও এর থেকে কম ননসেন্স। দু’ দেশে যুদ্ধ, একজন আক্রান্ত, একজন আক্রমণকারী, অ্যাট লিস্ট গোটা ইউরোপ এভাবেই ভাবছে। ঘোষণাপত্রে লেখা হল ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হোক। লেখা হল যুদ্ধ খুব খারাপ, লেখা হল শান্তি ফিরে আসুক, কিন্তু ভাসুর যেমন ভাদ্দর বউয়ের নাম মুখে আনে না, তেমনি এই ঘোষণাপত্রে রাশিয়ার নাম নেই। তার মানে কী? যুদ্ধ কি একা একাই ইউক্রেন করছে? রাশিয়ার নামটুকু লেখা হলে যৌথ ঘোষণা হত না, চীন আর রাশিয়া সই করত না। অতএব নাম না করেই শান্তি ঘোষণা করা হল। এই ভেলকিই মোদিজি দেশের লোককে দেখাচ্ছেন, সেই একই ধ্যাষ্টামো জি টোয়েন্টিতে দেখালেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
EVM | EVM কাণ্ড, ৪৮ লাখ ভোটের তফাৎ ,মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে
00:00
Video thumbnail
Top News | বিজেপি সদর দফতরের বাইরে বোমা, এলাকা ঘিরল পুলিশ
00:00
Video thumbnail
Nabanna | ঘর পেয়েছেন? চিন্তা নেই, আবাসের সমীক্ষা নবান্ন শুরু করবে জুলাইয়ে!
00:00
Video thumbnail
BJP West Bengal | বাংলাতেই কেন হিংসা? বিমানবন্দরে নেমেই প্রশ্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের
00:00
Video thumbnail
Suvendu Adhikari | দুর্গাপুজোতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ! বিজেপির পুজোর দাবি
02:09:12
Video thumbnail
Election Commission | মোবাইলে আসছে ওটিপিনিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ইভিএমএভাবেই কি জিতল NDA? সত্যিটা কী?
04:31
Video thumbnail
Weather Update | সুখবর! বর্ষার বৃষ্টি কবে থেকে? বিরাট আপডেট
04:36:05
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | হাসপাতালে ভর্তি অভিষেক, অপারেশন হবে, কী হয়েছে?
07:32:43
Video thumbnail
Belgharia News | বেলঘরিয়ার ব্যবসায়ী কে জেল থেকেই বারবার ফোন, কী দাবি কুখ্যাত দুষ্কৃতির?
02:37:27
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | অপারেশন শেষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন আছেন?
02:57:13