কাবুল: আফগানিস্তান (Afganistan) তীব্র ঠান্ডায় কাঁপছে। চরম শীতের (Cold Weather) জেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দেড়শোর বেশি মানুষের। অনেক ভেঁড়া, গরু সহ অন্যান্য প্রাণী প্রাণ হারিয়েছে। আফগানিস্তান প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠান্ডায় কমপক্ষে ১৬০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। ঘর গরম করে রাখার জন্য কয়লার জোগানও ঠিকমতো নেই। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যার ফলে গোটা আফগানিস্তান কার্যত জবুথুবু।
শুক্রবার সেখানকার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সেখানকার তাপমাত্রা নেমে হয়েছে -২৯.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এমনিতে অর্থনৈতিকভাবে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে আফগানিস্তান। তার উপর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো নেমে এসেছে। যার ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন।
আরও পড়ুন: Oldest Mummy: প্রাচীনতম মমি উদ্ধার হল মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে!
গত প্রায় এক দশক পরে হিমাঙ্কের এত নীচে তাপমাত্রা (Temperature) নামল সেখানে। জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে এই চরম শৈত্যপ্রবাহ চলছে সেখানে। একটি হিসেব অনুযায়ী, কমপক্ষে ৭৫,০০০ প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে এবার । এদিন পর্যন্ত ১৬২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাজে নামতে হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলেক। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মুখপাত্র সফিউল্লা রহিমি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র গত সপ্তাহে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে. প্রায় ১৫ বছর পর তাপমাত্রা এত নীচে নামল।
৩০ বছর বয়সি দোকানদার আশরফ আলি পাঁচ শিশুকে নিয়ে দোকানের বেসমেন্টে বসবাস করেন। তিনি বলেন, এবছর অত্যধিক ঠান্ডা। আমরা কয়লাও কিনতে পারছি না। যা দিয়ে ঘর গরম রাখা হয়। রাত হলেই বেশি ঠান্ডায় বাচ্চারা কান্নাকাটি শুরু করছে। সকাল পর্যন্ত তাঁদের কান্নার আওয়াজে রাত জেগে থাকতে হচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষে মার্টিন গ্রিফিতস (UN aid chief Martin Griffiths) কাবুল (Kabul) গিয়েছিলেন সম্প্রতি। তিনি ওই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।