কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেতন সিং জৈরমাজরার দুর্ব্যবহার নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য মহলে। হাসপাতালের দুরবস্থা স্বচক্ষে দেখতে গিয়ে তিনি ফরিদকোটে বিখ্যাত সরকারি হাসপাতাল বাবা ফরিদ ইউনিভার্সিটি এফ হেল্থ সায়েন্সের উপাচার্য রাজ বাহাদুরকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে পড়তে বলেন। রাজ বাহাদুর নিজেও একজন বিশিষ্ট চিকিতসক। তাঁকে সকলেই শ্রদ্ধার চোখে দেখেন।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছে নেটদুনিয়া। তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী নেতারাও। তাঁরা ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের কাছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে অমৃতসর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপার ইস্তফা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা সম্পর্কে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা অভিযোগ আসছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কানে। তাই তিনি নিজেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য অফিসারদের নিয়ে হাজির হন ওই হাসপাতালে। রোগীদের বেড নোংরা দেখেই চেতন সিং রেগে যান। তিনি খোদ উপাচার্যকেই ওই নোংরা বেডে শুয়ে পড়তে বলেন। কিছুটা ইতস্তত করে পরে উপাচার্য মন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বেডে শুয়ে পড়েন। তাঁকে মন্ত্রী দুচার কথা শুনিয়েও দেন। এক অফিসার আবার মন্ত্রীকে খুশি করতে বেডে পাতা গদি তুলে তার জীর্ণ হাল দেখান। পরে মন্ত্রী হাসপাতালের স্টোররুম পরিদর্শন করেন। রোগীদের অভাব অভিযোগও শোনেন।
মন্ত্রীর এই ভূমিকার প্রশংসা করেন অনেকেই। তবে কেউ কেউ আবার এর মধ্যে আপ সরকারের মন্ত্রীদের অতিনাটকীয়তা খুঁজে পেয়েছেন। মন্ত্রীর সমালোচনা করে টুইটে কংগ্রেস নেতা পারগত সিং বলেন, আম আদমি পার্টির এই ধরনের নিম্নমানের নাটক বন্ধ করা দরকার। আজ বাবা ফরিদ হাসপাতালের উপাচার্যকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অপমান করেছেন। তিনি নিজে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ। মন্ত্রীদের এই গুন্ডাগিরি স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
গত মে মাসেই দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর জায়গায় মন্ত্রী করা হয় চেতন সিংকে। এবার তিনিও বিতর্কের মুখে পড়লেন।