ঝালদা: আবার চেয়ারপার্সন বদল ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality)। পূর্ণিমা কান্দুকে সরিয়ে চেয়ারপার্সন পদে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে (Shila Chatterjee) পুনর্বহাল করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশে শীলাকে সরে যেতে হয়। চেয়ারপার্সন হন পূর্ণিমা (Purnima Kandu)।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এর ফলে ঝালদা পুরসভার জট অব্যাহতই রইল। আদালত জানিয়েছে, একক বেঞ্চের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই পদে থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Odisha Man: নামিয়ে দিয়েছিল অটো, স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে ৮০ কিমি হাঁটলেন স্বামী
উল্লেখ্য, পুরসভা নির্বাচনের সময় থেকে পুরুলিয়ার এই পুরসভা রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। গত বছর বোর্ড তৈরির আগেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু নৃশংসভাবে খুন হন। কলকাতা হাইকোর্টের নিরদেশেই ওই খুনের মামলার তদন্ত করে সিবিআই। তদন্তে নেমে ঝাড়খণ্ড থেকে কয়েকজন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ঝালদা পুরসভা নিয়ে আইনী জটিলতা চলছে অনেক দিন ধরেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে ১৬ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোট হয়। জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মহকুমা শাসক। আস্থা ভোটে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। আস্থা ভোটের ব্যালট পেপার নিলেও ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। ভোটের ফল প্রকাশের পর এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে কংগ্রেস। তৃণমূল আবারও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে শীলার দলবদল নিয়ে। যদিও শীলার দাবি ছিল, তিনি দলবদল করেননি, কংগ্রেস তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিল। পরবর্তীকালে শীলাকে সরিয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাকে চেয়ারপার্সন পদে বসানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মাত্র কয়েকদিন চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ করার পরই বৃহস্পতিবার ফের পূর্ণিমাকে সরে যেতে হল আদালতের নির্দেশে। আদালতের নির্দেশেই আবার স্বপদে ফিরলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ঝালদা শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে এত ঘনঘন চেয়ারপার্সন বদল হওয়ায় পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল মামলা মোকদ্দমা করে ঝালদার পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। আসলে ওরা ঝালদায় পরাজয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।