কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে নবম-দশমের ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিলের উপর এখনই কোনও স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার এজলাসে এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। এদিন এজলাসে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন, আমরা নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের দুটি একক বেঞ্চ এর আগে নবম-দশমে ৯৫২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। ওই ৯৫২ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন একক বেঞ্চের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। একক বেঞ্চের নির্দেশ মেনে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ৬২৮ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে।
আরও পড়ুন: New JNU Rules: ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে নয়া শাস্তিবিধি জেএনইউতে
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ দুই একক বেঞ্চর রায়ই বহাল রাখে। বেঞ্চ জানায়, তারা একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করবে না। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ঠিক পরেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যহার করে নেয়। বৃহস্পতিবার ওই ৯৫২ জনের একাংশ নতুন করে মামলা দায়েরের অনুমতি চায়। তারা দ্রুত শুনানিরও আর্জি জানায়। বিচারপতি বসু জানিয়ে দেন, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়।গতকাল ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছিল, চাকরি বাতিলের ব্যপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিজস্ব আইন রয়েছে। মামলাকারীরা সেই আইনকেও চ্যালেঞ্জ করেননি।
এদিন অবশ্য ওই আইনকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের আইনের ১৭ নম্বর ধারায় কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।