কিয়েভ: ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিয়েভের (Kyiv) ব্রোভারি শহরের একটি নার্সারি স্কুলে ভেঙে পড়ল সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার (helicopter)। বুধবারের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনাস্টরস্কি-সহ একাধিক ব্যক্তির। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুই শিশু-সহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। ইতিমধ্যেই সেই দুর্ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভের স্থানীয় প্রশাসন। তবে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় বর্ষব্যাপী যুদ্ধ (Russia Ukraine War) পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনায় আঙুল উঠছে পুতিনের দেশের দিকেও। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেনি রাশিয়া।
ইউক্রেনের পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, দুই শিশু-সহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১০ শিশু সহ মোট ২২ জনকে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চলছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। আপাতত ওই নার্সারি স্কুলটি খালি করা হয়েছে। আর কেউ সেখানে আটকে নেই বলেই অনুমান উদ্ধারকারীদের।
আরও পড়ুন: El Nino: তিন বছর পর ফিরছে ‘এল নিনো’, এবছর পড়তে চলেছে মারাত্মক প্রভাব!
সেখানকার পুলিশ প্রধান জানান, অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস। কিয়েভ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ব্রোভারি এলাকায় ওই নার্সারি স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে তাঁদের হেলিকপ্টারটি। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় তাতে। ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়াও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় সেই দৃশ্য সামনে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে আহত আর্তনাদও শোনা গিয়েছে। নার্সারি স্কুল ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনার ফলে প্রচুর মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। এপ্রিলে এই অঞ্চল থেকে পিছু হঠেছিল রাশিয়া। ব্রোভারি এলাকা দখল করতে গেলে রাশিয়ার সঙ্গে তুমুল লড়াই চলে ইউক্রেনের। তবে শেষ পর্যন্ত এই এলাকা দখল করতে পারেনি রুশ সেনা। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। ছয় শিশু-সহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয় ওই হামলায়। বুধবারের এই দুর্ঘটনার পিছনে রাশিয়ার যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। কী করে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, সেই সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে।