চণ্ডীগঢ়: জোশী মঠের (Joshi Math) মতো বাড়িতে ফাটল ধরে (Cracks) বিপর্যয় (Disaster) ডেকে আনার মতো পরিণতি হতে পারে এরকম আরও এলাকা রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে তাঁরা সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলে দাবি করছেন এবার। সেই আশঙ্কায় বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতরে আবেদন করছেন। সেরকমই একটি ঘটনা সামনে এল হরিয়ানার। সেখানে যেভাবে বাড়ি নির্মাণের আইন পরিবর্তন করে নির্মাণ হচ্ছে তাতে বিপদ (Danger) ঘনিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের (Administration) দ্বারস্থ হয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
হরিয়ানা (Hariyana) পাঁচকুলার বাসিন্দা সঞ্জীব তিওয়ারি (Sanjeev Tiwary) জানিয়েছেন, হরিয়ানা বিল্ডিং কোড ২০১৬ পরিবর্তন করা হয়েছে এক বছরের মধ্যে। ২০১৭ বিল্ডিং কোড সেখানে প্রয়োগ হয়েছে। বিল্ডিংয়ে ফ্লোর এরিয়া রেশিও একই থাকলেও সেখানে বিল্ডিংয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ মিটার। ২০১৯ সালে সেটা আবার বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬.৫ মিটার। সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এভাবে উচ্চতা বাড়িয়ে নেওয়া নিরাপদ নয়। এর ফলে পাশের বাড়ির নির্মাণ কাজও বিপদের মুখে পড়ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আইন মেনে ওই পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Tripura Vote: ত্রিপুরার ভোটে এক মিছিলে কংগ্রেস ও সিপিএম জমানার দুই মুখ্যমন্ত্রী
যোগেশ গুপ্ত (Yogesh Gupta) নামে সেখানকার এক বাসিন্দা (Resident) জানিয়েছেন, আমি ২০১৩ সালে বাড়ি তৈরি করেছি। তখনকার আইন মেনে। নতুন নিয়মে বাড়ি হওয়ার ফলে দেখা যাচ্ছে, আমার ভেন্টিলেশনের জায়গাও থাকছে না। ড. এমএস আহলাওয়াত নামে এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এই এলাকা ভূমিকম্প (Earthquake) প্রবণ। এভাবে বাড়ি নির্মাণ করার ফলে আমরা আশঙ্কা করছি, আরেকটি জোশীমঠ না হয়ে যায় ওই এলাকা।
পাঁচকুলা রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট (Panchkula residents Welfare Association) এসকে নায়ার বলেন, আচম্বিতে এক নোটিশে (Notice) সব নিয়ম পরিবর্তন হয়ে যায়। তার আগে বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয় না। অনেকে এজন্য এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। অনেকে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন সেখানকার বিজেপি সরকারের দিকে। প্রশাসন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।