অমরাবতী: সমগ্র বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনার উপদ্রব। যা নিয়ে জেরবার সকল শ্রেণীর মানুষ। এই অতিমারিকে দূর করতে নানাবিধ বিধিনিষেধ রয়েছে। ভ্যাকসিন ছাড়াও বড় উপায় হচ্ছে উপযুক্ত আহার। যার মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার সম্ভব।
আরও পড়ুন- জম্মু কাশ্মীরের বারামুলায় গ্রেনেড হামলায় আহত দুই জওয়ান-সহ তিন
এই অবস্থায় মানুষকে কৃষিজাত পণ্য দেওয়ার লক্ষ্যে আসরে নেমেছেন শিক্ষিকা পুলামাথি। যিনি একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর উদ্যোগেই সুবিশাল জমিতে শুরু হয়েছে চাষের কাজ। তাঁর লক্ষ্য ভালো সবজি উৎপাদন করা, যা এখন প্রতিকূল হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের হাল বেহাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- দ্রাবিড় সভ্যতার পাঠ, মমতাকে বই উপহার দিলেন কানিমোঝি
এছাড়াও ওই কীর্তির বড় নজির হচ্ছে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত সকলেই মহিলা। এক ঝাঁক মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে মোট ২৭ একর জমিতে কৃষিকাজ শুরু করেছেন শিক্ষিকা পুলামাথি। কৃষিকাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় কাজের সঙ্গে জড়িত সকলেই মহিলা। এটাই মূল বিশেষত্ব ওই প্রকল্পের। যা নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুন- আইপ্যাক কর্মীদের পুলিশের হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন বিপ্লব
মহিলাদের এই কর্মকাণ্ড দীর্ঘ দিন ধরে চলছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য অন্ধপ্রদেশে। ওই রাজ্যের সমূদ্র লাগোয়া শহর বিশাখাপত্তনমে সুবিশাল জায়গা জুড়ে চলে এই কৃষিকাজ। মোট জমির পরিমাণ ৮০ বিঘার বেশি। এই প্রকল্পের বিষয়ে শিক্ষিকা পুলামাথি বলেছেন, “মাটির উর্বরতাকে ব্যবহার করে বা বাড়িয়ে কৃষিকাজ শুরু করেছি। মানুষের স্বাস্থ্যের হাল অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে উপযুক্ত খাবারের অভাবে। সেই কারণেই একটা প্রয়াস।”
তাছড়াও মহিলাদের নিয়ে অন্য কিছু করার একটা ভাবনা ছিল ওই শিক্ষিকার। সেই কারণেই ওই উদ্যোগ। তিনি বলেছেন, “আমি প্রমাণ করতে চাই যে মেয়েরা কেবলমাত্র রান্না করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। তাঁরা চাষ করতেও পারে, শিক্ষকতা করতে পারে এবং চাইলে সবই করতে পারে। কৃষিকাজ অনেক লাভজনক, এই কাজে অনেক সুযোগ রয়েছে।”