নয়াদিল্লি: আগামী মাস থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হতে চলেছে দেশে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, লোকসভা ভোটের আগে দেশে চালু হবে সিএএ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কয়েকদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলন, লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ চালু হবে দেশে। সেই কথা মতো ইতিমধ্যে সিএএ-র কার্যকরের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এ খবরের সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির সরকার সিএএ আইন পাশ করে। সংসদের দুই কক্ষে তা অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি সেই বিলে সইও করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই আইনের ধারা তৈরি হয়নি। নতুন আইন অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশগুলি থেকে যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উতপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় নিতে চান, ভারত তা দেবে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ গীতা কোড়া বিজেপিতে
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় সিএএ একটা বড় ইস্যু ছিল। মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। বিজেপি দাবি করেছিল, মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। শাসক তৃণমূল বলে, মতুয়ারা ভোট দিচ্ছেন বহু বছর ধরে। তাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব আছে। নতুন করে তাদের আর নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন। গত লোকসভা ভোটে বাংলার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিজেপি ভালো ফল করেছিল। বিজেপির ১৮টি আসন পাওয়ার পিছনে মতুয়াদের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল। তৃণমূল সরকার প্রথম থেকে সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতা করে আসছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ক্যা ক্যা, ছিঃ ছিঃ স্লোগান তুলে পথে নেমেছিলেন সিএএ-র বিরোধিতায়।
চার বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। তার মধ্যে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, করোনা মিটলেই সিএএ চালু হয়ে যাবে। তারপরও তা চালু হয়নি। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, সিএএ ঝুলে থাকায় হিন্দু উদ্বাস্তুদের একটা বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বহুদিন ধরে মতুয়াদের আশ্বাস দিয়ে আসছেন নাগরিকত্বের ব্যাপারে। মতুয়াদের একটা অংশও তা নিয়ে হতাশ।