নয়াদিল্লি: শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে নয়ডার (Noida) নিঠারি (Nithari) গ্রামে ড্রেন থেকে কঙ্কাল উদ্ধার ঘিরে। তারপরই প্রকাশ্যে আসে সেই হাড় হিম করা ঘটনা। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে ১৯টি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। ২০০৫-০৬ সাল নাগাদ নয়ডায় একের পর এক কিশোরী, যুবতী নিখোঁজ হতে শুরু করে। পরে জানা যায় তাদেরকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। নয়ডার সেই নিঠারি হত্যা মামলার দুই মূল অভিযুক্ত মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের (Moninder Singh Pandher) ও সুরেন্দ্র কোলির (Surendra Koli)
ফাঁসির সাজা রদ করল এলহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court )। আদালত সূত্রে সোমবার জানা গিয়েছে, সুরেন্দ্রকে ১২টি মামলায় মনীন্দ্রকে দুটি দুটি মামলায় বেসকুর ঘোষণা করেছে আদালত।
তদন্তে উঠে আসেকিশোর কিশোরীদের উপর যৌন অত্যাচার করা হত। তারপর খুন করে দেহ সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলত সুরেন্দ্র। এক বাঙালি পিঙ্কি সরকারের কঙ্কালও তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। পিঙ্কি পান্ধেরের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ঢোকে। সুরেন্দ্র তাঁকে খুন করে। ২০০৭ সালে পিঙ্কির জামাকাপড় শনাক্ত করেন তাঁর বাবা মা।
আরও পড়ুন: ইরানের চলচ্চিত্র পরিচালককে হত্যা
নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে প্রমাণের অভাবে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। পিঙ্কি খুনের মামলায় মনীন্দ্রকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও খবর দেখুন