ডায়মন্ডহারবার: রেমাল (Cyclone Remal) দুর্যোগের মধ্যে সাগর ব্লক হাসপাতালে (Sagar Rural Hospital) বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর হল এক মাসের শিশু কন্যার। এক মাসের মেয়েটার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে নিয়ে বাবা-মা তাই ছুটে আসেন হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসকের দেখা মেলেনি, চালানো হয়নি হাসপাতালের জেনারেটর৷ হাসপাতালের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু এক মাসের শিশুকন্যার। ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার। খানসাহেব আবাদ এলাকার বাসিন্দা শিবশঙ্কর মহতার মাত্র এক মাসের মেয়ে তুলিকা মহতা। রবিবার রাতভর রেমালের তাণ্ডবের মাঝেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এক মাসের শিশুটির। দুর্যোগের মাঝেই তাকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া যায়নি। বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় এক মাসের ছোট্ট তুলিকাকে। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
২৭শে মে সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের মধ্যে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। সকালে খানসাহেব আবাদ এলাকার বাসিন্দা শিবশংকর মহতার মাত্র এক মাসের মেয়ে তুলিকা মহতা, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে অসুস্থ বোধ করায় তাকে দুর্যোগ মধ্যে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু পরিবার সূত্রে অভিযোগ,সকালে হাসপাতালে এসে দেখেন হাসপাতালে কোন চিকিৎসক নেই। পরে চিকিৎসক এলেও ওই এক মাসের ছোট্ট মেয়েটি সঠিক পরিষেবা পায়নি। পরিবার সূত্রে আরও অভিযোগ করা হয় যে, হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকার কারণে ওই ছোট্ট মেয়েটিকে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়নি, যার ফলে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় এক মাসের ছোট্ট তুলিকাকে।
আরও পড়ুন: লিলুয়ায় লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
যেখানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে প্রায় সব জায়গায় এমার্জেন্সি ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটারের ব্যবস্থা আগে থেকেই করার কথা। সেখানে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও ওই সময় তা ব্যবহার করা হয়নি। পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ওই ছোট্ট মেয়েটি মৃত্যু যাওয়ার পরে জেনারেটর চালু করে গ্যাস দেওয়ার ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও সাগর গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে এলাকার মানুষদের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
অন্য খবর দেখুন