নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantarmantar) ধরনায় বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ তৃণমূলের তাবড় নেতারা। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের (Trinamool) এই ধরনা কর্মসূচি। সকাল থেকেই যন্তর মন্তর এবং আশপাশ এলাকা পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। আগে থেকে যন্তরমন্তরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফ্লেক্স টাঙিয়ে জানিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। ড্রোনের সাহায্যে চলছে নজরদারি। শুধু যন্তরমন্তর নয়, দিল্লির একাধিক রাস্তাতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যন্তরমন্তরে জড়ো হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী এবং দলীয় সমর্থকরা। একের পর এক ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরা যাতে কোনও ভাবেই ব্যারিকেড ভাঙতে না পারে তার জন্য লাঠিধারী পুলিশ ও ব়্যাফ মোতায়েন রয়েছে। মজুত রয়েছে জলকামানও।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিশ্লেষকের বাড়িতে পুলিশি অভিযান
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দুপুর থেকে অবস্থানে তৃণমূল। গোলায় প্ল্যারাড ঝুলিয়ে প্রতিবাদ ধরনায় বসেছেন তৃণমূলের নেতারা। উপস্থিত রয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়, শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। তৃণমূলের ধরনা বক্তব্য রাখেন সায়নী ঘোষ ধূপগুড়ির নব নির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ও। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল প্রতিনিধিরা। তার আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সেখানে ধরনা দেবেন তাঁরা।
এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ৫০ জন বিধায়ক, নেতা সাংসদদের আটকাতে কেন্দ্র সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যে ভাবে আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে মনে হচ্ছে ভারত-চীন যুদ্ধ হচ্ছে। অমিত শাহ বিএসএফ, সিআরপিএস সবাইকে লামিয়ে দিয়েছেন। একদিকে মণিপুর জ্বলছে, অন্যদিকে তৃণমূলকে আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র। পুলিশ সামরিক বাহিনী দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। মনে রাখবেন তৃণমূল ঘাস ফুল যত কাটবে তত বাড়বে।