বুধবার ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সামনে মুম্বই সিটি এফ সি। গ্রুপ লিগের চারটি ম্যাচ এবং কোয়ার্টার ফাইনাল–সব মিলিয়ে পাঁচটি ম্যাচেই অপরাজিত মহমেডান। জিতেছে চারটিতে। আর প্রাক্তন আই এস এল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফ সি গ্রুপ লিগে হেরে গেছে ইমামি ইস্ট বেঙ্গলের কাছে। ড্র করেছে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে। তবে এই সব শুকনো রেকর্ড দিয়ে সেমিফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্তি কিংবা দুর্বলতা মাপার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। তা সত্ত্বেও একটা কথা মাথায় রাখা দরকার। তা হল মুম্বই আই এস এল-এর সেরা তিনি দলের একটা। আর মহমেডান হল আই লিগের দল। এই পার্থক্যটা কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগে থাকবেই। সেটা মাঠে নামার পর কোন জায়গায় পৌছবে সেটাই দেখার।
মুম্বই-এর বিদেশিরা বেশ পরীক্ষিত। তাদের সামনের দিকটাও বেশ ভাল। বিদেশি গ্রেগ স্টূয়ার্ট এবং দুই স্বদেশী বিপিন সিং এবং ছাংতেকে নিয়ে তাদের ফরোয়ার্ড লাইন ধারে এবং ভারে অনেকের চেয়ে এগিয়ে। একই টিমে অনেক দিন ধরে খেলছেন তাঁরা। কম্বিনেশন তাই বেশ ভাল মানের। মাঝ মাঠে অধিনায়ক আহমেদ জাহু অনেকটা জায়গা জুড়ে খেলেন। গোল করানোর ব্যাপারে তাঁর সুনাম আছে। বিশেষ করে সেট পিসে তিনি বেশ দক্ষ। এদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর উপরে নির্ভর করা যায়। ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে , মন্দার রাজ দেশাই তো আছেনই গোলকিপার নওয়াজের উপরেও নির্ভর করা যায়। সব মিলিয়ে মুম্বই বেশ সেট টিম। বেশ ভাল টিম।
তবে মহমেডানকে উড়িয়ে দেবে এ রকম ভাবাই ভুল। মহমেডানের একটা বড় শক্তি তাদের সমর্থকরা। সল্ট লেক স্টেডিয়ামে অন্তত হাজার তিরিশ দশর্ক থাকবে সাদা কালো ফুটবলারদের উৎসাহিত করতে। এদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হবেন দলে সদ্য যোগ দেওয়া নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড আবিওলা দাউদা। মাত্র তিন দিনের প্র্যাক্টিসের পর কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে তাঁকে নামান কোচ আন্দ্রেই চেরনিশভ। এবং প্রথম ম্যাচেই মাত্র ৪৫ মিনিট খেলে জোড়া গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন ৩৪ বছর বয়সী এই বিদেশি। এখন প্রশ্ন সেমিফাইনালে কি তাঁকে শুরু থেকেই নামানো হবে? তাহলে অপর বিদেশি স্ট্রাইকার নুরুদ্দিনকে বসতে হয়। কারণ দলের অধিনায়ক এবং গেমমেকার মার্কাস জোসেফকে তো সারাক্ষণই মাঠে থাকতে হয়। বাকি দুই বিদেশি তো ডিফেন্ডার। তবে মহমেডানের ভারতীয় ফুটবলাররা তো বেশ ভাল। প্রীতম সিং, আজহারউদ্দিন মল্লিক, অভিষেক হালদাররা টিমের সম্পদ। মুম্বইকে তারা এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। সব মিলিয়ে মহমেডান-মুম্বই ম্যাচে কে ফেভারিট তা বলা মুশকিল। তবে নিজেদের মাঠে পরিচিত পরিবেশে নিজেদের সমর্থকদের সামনে মহমেডানকে একটু হলেও এগিয়ে রাখতে হবে।