নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থী হিসেবে আমার নাম মনোনীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি জাতির সেবা করার জন্য উন্মুখ।’
উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে শনিবারই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড৷ আগামী ১৯ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ ধনখড় রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে রয়েছেন৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তাঁকে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে৷ সম্ভবত আজ রবিবারই তিনি রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেবেন৷ এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন জগদীপ ধনখড়৷ বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আজই পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারেন তিনি৷
এদিকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর আজ, রবিবার সকালে ধনখড় দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে৷ এর আগে শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল৷ জগদীপকে উত্তরীয় পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে শুভেচ্ছা জানান শাহ৷ শনিবার উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ জগদীপ ধনখড়কে তিনি ‘জনতার রাজ্যপাল’ বলে অভিহিত করেছিলেন৷ অভিনন্দন জানিয়ে টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলার রাজ্যপালকে ‘কৃষকপুত্র’ বলে সম্বোধন করেন৷
২০১৯ সালে তাঁকে রাজ্যপাল করে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়৷ রাজ্যপাল হয়ে আসা ইস্তক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কখনওই মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি তাঁর৷ তৃণমূল সরকারের সঙ্গে বারবার নানা ইস্যুতে জগদীপ ধনখড় সংঘাতে জড়ান৷ চরম অবনতি হয় রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কের৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বহুবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন মমতা৷ এমনকী বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও আনা হয়৷ তৃণমূলের অভিযোগ, তিনি বিরোধী রাজনীতির শিবির খুলেছেন রাজভবনে৷ তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় তাই কিছুটা ‘স্বস্তি’তে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে আমলারা৷