বর্ধমান: এবার শাসকদলের কার্যালয় ভাঙচুর। সোমবার বর্ধমান থানার ভোতারপাড় এলাকায় তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চড়াল চাঞ্চল্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)।
পূর্ব বর্ধমান (Purba Burdwan) জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান বলেন, এদিন সকালে দলীয় কার্যালয় খুলতে এসে দেখি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে সমস্ত জানালার কাচ। নুরুলের অভিযোগ, রবিবার জেলার বিভিন্ন ব্লক ও শহরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীদের নাম ঘোষিত হয়। তারপরই সিপিএম, বিজেপি থেকে আসা লোকজন যারা এখন তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেছে তারাই গোটা রাতজুড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও সমস্ত বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানোর পাশাপাশি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে জানান নুরুল।
এদিকে এই ঘটনার পর বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের কটাক্ষ, কিছুদিন আগেই চাকরি দেওয়ার নাম করে দলের এক বিধায়ক টাকা নিয়েছেন। এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন নুরুল হাসান। তারপরই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল হয়। তাছাড়া গতকাল দলের যুবর পদাধিকারীদের নাম ঘোষণার পরই এলাকার দখল নিতেই তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee-Arijit Singh: জঙ্গিপুরে মেডিক্যাল কলেজ গড়তে চান অরিজিৎ, পাশে মমতা
উল্লেখ্য, আগামী দুতিন মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হতে চলেছে। কিন্তু তার মাঝেই তৃণমূলের একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসছে। এর জেরে যথেষ্ট ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) বিভিন্ন জেলার নেতাদের অবিলম্বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে নির্দেশও দিয়েছেন। এমনকী কারও পা ধরে পদের লোভ না করারও নির্দেশ দেন অভিষেক। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তবু জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমার কোনও লক্ষণ নেই। প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গায় শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। এই কোন্দলকে রুখতে কী পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল তার দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।