মধ্যপ্রদেশ: অক্সিজেনের ঘাটতি। করোনা আক্রান্তদের বাঁচাতে অসহায় অবস্থা হাসপাতালের ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ডাহা ফেল প্রশাসন। শুরু হয়েছিল মৃত্যু মিছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে ভারতের করুণ অবস্থা দেখেছিল গোটা বিশ্ব। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে উত্তর প্রদেশের পরেই স্থান হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের। রাজ্যের কঠিন পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ বিনিদ্র রজনী কেটেছিল তাঁর। প্রতিমূহুর্তে খবর যোগাযোগ রাখতে হয়েছে অক্সিজেন সরবরাহকারীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় ঢেউই শেষ, শক্তি হারাচ্ছে কোভিড’
শনিবার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে ওঠার কঠিন লড়াইয়ের কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেন তিনি। তাঁর কথা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশে সবচেয়ে বেশী মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল। প্রতিটি হাসপাতালেই চলছিল অক্সিজেনের হাহাকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে,এমনকী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অক্সিজেন সরবরাহে বাড়িয়ে দিয়েছিল সাহায্যের হাত। যদিও সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে দেশে। এদিন মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন সমস্যা কাটিয়ে উঠে রাজ্যেকে তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা করার সব রকম সুরক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৮০ হাজার মানুষকে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যে মহারাষ্ট্র থেকে তৃতীয় ঢেউয়ের আঁচ এসে পড়ার আগেই মধ্যপ্রদেশ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।